দীপাবলি-ভাইফোঁটার আগে সর্ষের তেল-সহ ভোজ্য তেলের দাম কমাতে মরিয়া চেষ্টা করছিল মোদী সরকার। পাম, সোয়াবিন বা সূর্যমুখী তেলের দাম কমলেও, এত দিন সর্ষের তেলের দাম বিশেষ কমেনি। অবশেষে সরকারকে স্বস্তি দিয়ে ভোজ্য তেল প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিই সর্ষের তেল-সহ ভোজ্য তেলের দাম কমানোর কথা ঘোষণা করল। তবে পাইকারি বাজারে লিটার প্রতি মাত্র ৪ থেকে ৭ টাকা দাম কমানো হবে বলে এই সংস্থাগুলি জানিয়েছে।
ভোজ্য তেলগুলির সংগঠন সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টর অ্যাসোসিয়েশন তথা এসইএ ঘোষণা করেছে, উৎসবের মরশুমে ভোজ্য তেলগুলির দাম প্রতি কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা কমাচ্ছে তারা। প্রসঙ্গত, এর আগেই সরকারের উদ্যোগে ভোজ্য তেল কমানোর জন্য পদক্ষেপ করা হয়েছিল। সেই পদক্ষেপের ফলে গত ৩১ অক্টোবর পাম তেলের কেজি প্রতি মূল্য ১৬৯.৬ টাকা থেকে কমিয়ে ১৩২.৯৮ টাকা করা হয়েছে বলে উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। সামান্য দাম কমেছে সোয়া তেলেরও।
তবে দাম কমেনি সরষের তেল, বাদাম তেল ও সূর্যমূখী তেলের। কিন্তু এবার কমছে সেই তেলগুলির দামও। কেজি প্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা কমানো হচ্ছে সব তেলেরই দাম। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, উচ্চ শুল্কের বাঁধন সত্ত্বেও ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তারা।
কলকাতার বাজারে এ দিনও লিটার প্রতি ২১৫ টাকার আশেপাশে সর্ষের তেল বিক্রি হয়েছে। দেশের অনেক জায়গায় ২৫০ টাকার কাছাকাছি দরে সর্ষের তেল বিক্রি হচ্ছে। ফলে মাত্র ৪ থেকে ৭ টাকা দাম কমলে সাধারণ মানুষের কতটা সুরাহা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।
উল্লেখ্য, ভারতকে তাদের প্রয়োজনীয় ভোজ্য তেলের ৬০ শতাংশই আমদানি করতে হয় বিদেশ থেকে।ভোজ্য তেল সংস্থাগুলির সংগঠন— সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টর অ্যাসোসিয়েশন আজ জানিয়েছে, সাধারণ মানুষকে সুরাহা দিতেই তাঁরা তেলের দাম কমাচ্ছেন। এর মধ্যে আদানি উইলমার, রুচি সোয়া-র মতো প্রধান ভোজ্য তেল প্রস্তুতকারী সংস্থা রয়েছে। জেমিনি এডিবলস, মোদী ন্যাচারালস, গোকুল রিফয়েলস, বিজয় সলভেক্স, গোকুল অ্যাগ্রো, এন কে প্রোটিনস-এর মতো সংস্থাও তেলের দাম কমাচ্ছে।