সুশান্তের মানসিক অবসাদ, চিকিৎসা, নেশা করা সম্বন্ধে সবই জানত পরিবার! চাঞ্চল্যকর চ্যাট প্রকাশ্যে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ঘুরে যাচ্ছে অভিযোগের অভিমুখ। সুশান্ত সিং রাজপুতের যে পরিবার এতদিন অভিনেতার মৃত্যুর ব্যাপারে তাঁর বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীকে কাঠগড়ায় তুলেছে, এ বার অভিযোগের আঙুল সেই পরিবারের দিকেই! সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার শ্রুতি মোদীর দাবি, রিয়ার সঙ্গে আলাপের অনেক আগে থেকেই মাদক নিতেন সুশান্ত, আর সেটা তাঁর পরিবারের সদস্যদের অজানা ছিল না। শুধু তাই নয়, গত নভেম্বরে সুশান্তের তিন দিদিই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন, আর তখন অশান্তির চোটে অসুস্থ হয়ে পড়েন সুশান্ত, ভর্তি করতে হয়েছিল হাসপাতালে! এই অভিযোগে ঘি ঢেলেছে সংবাদমাধ্যমের হাতে আসা একটা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, যাতে দেখা যাচ্ছে অবসাদ, নেশা ছাড়া এবং অ্যাংজাইটি অ্যাটাকের জন্য অভিনেতাকে মেসেজিং অ্যাপে ওষুধ সাজেস্ট করছেন তাঁর দিদি, পাঠাচ্ছেন প্রেসক্রিপশনও। অর্থাৎ, অভিনেতার অবসাদের কথাটিও তাঁদের অজানা নয়।

এখানেই শেষ নয়। রিয়ার আইনজীবীরা দাবি করছেন, প্রেসক্রিপশন ছাড়া সুশান্তের ওষুধ পরিবর্তন করেছিলেন সুশান্তের দিদি প্রিয়াঙ্কা। আর সে জন্যই নাকি গত ৮ জুন রেগে গিয়ে সুশান্তের বাড়ি ছেড়েছিলেন রিয়া। ‘ইন্ডিয়া টুডে’–র এক এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, গত ১৯ নভেম্বর সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার শ্রুতি মোদীর কাছ থেকে প্রেসক্রিপশন চেয়ে পাঠান অভিনেতার দিদি মিতু। এমনকি যে ডাক্তার সুশান্তকে দেখছিলেন তাঁরও যাবতীয় তথ্য শ্রুতিকে দিতে বলেন সুশান্তের দিদি। যদিও এর আগে সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে একাধিক জায়গায় সুশান্তের পরিবার দাবি করেছিলেন তাঁর মানসিক অসুস্থতার কথা বিন্দুমাত্র জানতেন না তাঁরা।

পাশপাশি, ইন্ডিয়া টুডে’র অন্য এক রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, সিবিআই এবং ইডিকে রিয়া জানিয়েছেন, সুশান্তের দিদি প্রিয়াঙ্কার কথায় দিল্লির রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালের এক ডাক্তার সুশান্তের ওষুধ বদলে দিয়েছিলেন গত ৮ জুন আর সে কারণেই নাকি সুশান্তের সঙ্গে ঝামেলা হয় তাঁর। রিয়ার আইনজীবীর প্রশ্ন, মুম্বইয়ে থাকা সুশান্তকে পর্যবেক্ষণ না করে কী করে একজন ডাক্তার ওষুধ দিয়ে দিতে পারেন?

আরও পড়ুন: ‘রসোরেমে কৌন থা’ জানিয়ে দিলেন খোদ গোপী বহু, ছোট পর্দায় ফিরছে সাথ নিভানা সাথিয়া ২

সুশান্ত এবং তাঁর দিদি প্রিয়ঙ্কার চ্যাট থেকে জানা যাচ্ছে, ৮ জুন প্রিয়ঙ্কার দিদি তাঁর ভাইকে লিব্রিয়াম, নেক্সিটো ১০ এবং লোনাজেপ নামে তিনটি ওষুধ খেতে বলেন। সুশান্ত জানান, প্রেসক্রিপশন ছাড়া এই সব ওষুধ পাওয়া যাবে না। তখন প্রিয়ঙ্কা সুশান্তকে বলেন, তাঁর এক বন্ধু ডাক্তার প্রেসক্রিপশন তৈরি করে দেবে। পাশপাশি এ-ও জানান, মুম্বইয়ের অন্য ডাক্তারের সঙ্গেও যোগাযোগ করিয়ে দেবেন প্রিয়ঙ্কার সেই বন্ধু। প্রিয়ঙ্কা লেখেন, সব গোপনই থাকবে। এর পরেই সুশান্তকে প্রেসক্রিপশনের অ্যাটাচমেন্ট পাঠান প্রিয়ঙ্কা। সঙ্গে লেখেন, যদি কেউ বলে দিল্লির প্রেসক্রিপশন কেন তা হলে বোলো, অনলাইন কনসাল্টেশন।

যে তিনটি ওষুধ প্রিয়ঙ্কা তাঁর ভাইকে নিতে বলেছিলেন তার মধ্যে লিব্রিয়াম আদপে হিপ্নোটিক মেডিসিন যা অনিদ্রা, দুশ্চিন্তা এবং মদ ও অন্যান্য মাদকের আসক্তি কাটাতে ব্যবহার করাহয়। নেক্সিটো ১০ প্যানিক ডিজঅর্ডার কাটাতে ব্যবহার করা হয়।লোনাজেপ সাধারণত মৃগীরওষুধ।রিয়ার আইনজীবীর প্রশ্ন,প্রথম থেকেই যে তাঁরা বলে এসেছিলেন সুশান্তের অসুখ সম্পর্কে কোনও ধারণাই ছিল না তাঁদের, তবে কেন সুশান্তকে এই ধরনের ওষুধ খেতে বলেন তাঁর দিদি? তিনি বলেন, রিয়া যদি ওষুধ দিয়ে থাকেন তাঁর দিদিও তো দিয়েছেন। তবে সে কথা চেপে গেলেন কেন তাঁরা?

শ্রুতির দাবি, রিয়া সুশান্তের জীবনে আসার অনেক আগে থেকেই অভিনেতা মাদক নিতেন। সুশান্তের প্রাক্তন গাড়িচালক তথা বডিগার্ড সোহেল সাগর তাঁর জন্য মাদক আনত। শ্রুতির আইনজীবীর বক্তব্য, সুশান্ত-রিয়া-সোহেল-সহ অন্যদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছিল, সেখানে মাদক নিয়ে কথাবার্তা হতো। তা ছাড়া, সুশান্তের বাড়িতে অন্তত তিনটে পার্টিতে তাঁর দিদিরা এসেছিলেন, আর সেখানে মদের পাশাপাশি মাদকের নেশাও চলেছিল পুরোদমে।

এই গোটা ঘটনায় মিডিয়ার একাংশের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর। তাঁর প্রশ্ন, “রিয়া তো গতবছরই সুশান্তের পরিবারকে জানিয়েছিল সুশান্তের অসুস্থতার কথা। সেই খবর অনেক মিডিয়া চেপে যাচ্ছে কেন? তার মানে কি ধরে নেব রিয়াকেই টার্গেট করা হচ্ছে? শি ইজ বিইং ফ্রেমড?”

আরও পড়ুন: সুশান্তের পরিবারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে চলেছেন রিয়া, একাধিক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest