নয়াদিল্লি: দেশ জুড়ে নোভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপকে এ বার বিপর্যয় বলে ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এই প্রকোপকে বিপর্যয় হিসাবে ঘোষণা করলেও, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা ঘোষণা হয়নি এখনও পর্যন্ত। সরকারের যুক্তি, কোভিড-১৯ ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চললেও, এখনও জরুরি অবস্থা ঘোষণার মতো পরিস্থিতি আসেনি। বরং কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, সেই পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে সরকারি এক বিবৃতিতে।
আরও পড়ুন: করোনা ঠেকাতে গোমূত্র খেয়ে পার্টি হিন্দু মহাসভার, হাসির রোল নেটদুনিয়ায়
এমনিতে বন্যা, ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগকেই বিপর্যয় বলে ধরা হয়। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল (এসডিআরএফ) থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। কিন্তু অতিমারী বা মহামারীর ক্ষেত্রে সেই ধরনের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। দেশে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা যে ভাবে বেড়ে চলেছে, পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাই তার প্রকোপকে বিপর্যয় হিসাবেই দেখছে কেন্দ্র। তবে এই সিদ্ধান্ত এককালীন। বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য যাতে করা যায়, সে কারণেই এই পদক্ষেপ।
https://twitter.com/PIB_India/status/1238764453451030529
করোনাভাইরাস সংক্রমণে নিহতের পরিবারকে ৪ লাখ টাকা এককালীন ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। শনিবার টুইটারে মন্ত্রকের তরফে এক বার্তা পোস্ট করা হয়েছে। বার্তায় জানানো হয়েছে, Covid 19 কে জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত করেছে ভারত সরকার। এই রোগের প্রকোপে কেউ নিহত হলে তাঁর পরিবারকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল (SDRF) থেকে সাহায্য প্রদান করা হবে।
আরও পড়ুন: করোনার কাঁটা! সোমবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ
এরপর ফের এক টুইট বার্তায় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, Covid 19 এর জেরে নিহতদের পরিবারপিছু এককালীন ৪ লাখ টাকা সাহায্যের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।টুইটবার্তায় জানানো হয়েছে, অর্থ সাহায্যের আওতায় থাকছেন করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং চিকিত্সায় নিযুক্ত সরকারি কর্মীরাও।