একুশে নীলবাড়ির নির্বাচনী-যুদ্ধের পর এবার ছোট লালবাড়ি দখলের লড়াইয়ের অপেক্ষা। বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। এবার তাই ছোট লালবাড়ি লড়াইয়ে তৃণমূলস্তরের নেতৃত্বকে গুরুত্ব দিতে চাইছে পদ্মশিবির। বিজেপি যোগ্য প্রার্থীর অনুসন্ধানে তাই নতুন এক পদ্ধতি অবলম্বন করেছে। কোনও সুপারিশকে গুরুত্ব না দিয়ে এবার সরাসরি আবেদনপত্র সংগ্রহ করছে বিজেপি।
জানা গিয়েছে, কলকাতা ও হাওড়ায় পুরভোটে প্রার্থী হওয়ার জন্য বিজেপিতে মুহুর্মুহু আবেদন জমা পড়ছে। কলকাতায় মোট ১৪৭টি ওয়ার্ড আর হাওড়ায় ৫০টি। সাকুল্যে ২০০-রও কম ওয়ার্ড। সেখানে ইতিমধ্যেই ৭০০ আবেদন জমা পড়ে গিয়েছে। এই আবেদনপত্র সরাসরি বিজেপির রাজ্য দফতরের ড্রপ বক্সে জমা পড়ছে।
দলীয় সূত্রে খবর, ভোটে জেতার পর দলবদল করতে পারেন এরকম সন্দেহ থাকলে তাঁদের প্রার্থী করা হবে না। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে এ বিষয়ে সতর্কও করে দেওয়া হয়েছে রাজ্য নেতাদের। পরে কোনওভাবেই যেন মুখ না পোড়ে দলের। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, মণ্ডল থেকে জেলা কমিটির কাছে যে নাম পাঠাবে সেই নামই এবার রাজ্য চূড়ান্ত করবে। কোনও সুপারিশ থাকলেও যোগ্য যাঁরা হবেন তাঁদের নামই চূড়ান্ত করবে রাজ্য নেতৃত্ব।
আগামী মাসেই হতে চলেছে হাওড়া (Howrah) ও কলকাতার পুরভোট। বর্তমানে আদি-নব্য দ্বন্দ্বে জর্জরিত বঙ্গ বিজেপি। দলের মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়াদের তালিকাও ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সামনে হাওড়া ও কলকাতা এই দুই পুরসভার ভোটযুদ্ধ এখন দলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তার উপর আবার কলকাতা পুরভোটের কমিটি নিয়েও অসন্তোষ চরমে। কমিটির মাথায় একটা বড় অংশই দলে নতুন। অনেকে আবার কলকাতার লোকই নন। কাজেই কমিটির বৈঠকেও যেতে পুরনো অনেক নেতারই তেমন আগ্রহ নেই। কমিটিতে রাখা সত্ত্বেও নিষ্ক্রিয় রয়েছেন অনেকে।