রবিবারই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে রাজভবনে বৈঠক করেছেন। আজ অর্থাত্ সোমবার সকালে দিল্লি গেলেন BCCI সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, দিল্লি অ্যান্ড ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (DDCA)-র অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে দেখা যেতে পারে সৌরভ ও অমিত শাহকে। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত্ প্রসঙ্গে এ দিন দিল্লি যাওয়ার আগে সৌরভের জবাব, ‘আমি কারও সঙ্গে দেখা করতে পারি না?’
বছরের শেষ রবিবার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে চর্চা চরমে। এরইমধ্যে খবর এল, রাজভবনে যাচ্ছেন সৌরভ। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে তাঁর একান্ত সাক্ষাৎ। মুহূর্তে পুরো লাইম লাইট নিজের দিকে কেড়ে নিলেন ‘দাদা’। এরপরই রাজ্যপালের দরবারে সৌরভের ‘হাজিরা’ ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। যদিও ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিটের বৈঠক শেষে বেরিয়ে সৌরভ বলেন, রাজ্যপাল ইডেন গার্ডেন্স দেখেননি এখনও। ঘুরে দেখতে চান। তা নিয়েই কথা হচ্ছিল। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ের আলোচনায় শুধুই ইডেন গার্ডেন্স! জল্পনা সঙ্গী করেই এই সাক্ষাতের কয়েক ঘণ্টা পর সোমবার দিল্লির পথে পা বাড়ান সৌরভ। তবে সকালেও বিমানবন্দরে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সৌরভ বলেন, জল্পনার কোনও জায়গাই নেই। পাল্টা প্রশ্ন ছোড়েন মহারাজই, “আমি লোকের সঙ্গে দেখা করতে পারি না?”
আরও পড়ুন: ‘লোকের বউ চুরি করছেন, বুড়ো বয়সে ভিমরতি হয়েছে ‘,সুজাতাকে নিয়ে সৌগতকে কূকথা দিলীপের
কিন্তু এ সাক্ষাৎকে এতটাও সহজ করে দেখতে নারাজ রাজনৈতিক মহল। বিশেষ করে একুশের বিধানসভা ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতাকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, বিজেপি এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়ে গুঞ্জন আজকের নয়। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, সৌরভের বাঙালিয়ানায় ভর করে বিজেপি বাংলা জয়ের স্বপ্ন দেখতেই পারে।
অন্যদিকে, সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্য়মকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সোমবারই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, সৌরভের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে দলের তরফে কখনই কোনও কথা হয়নি ঠিকই। তবে সৌরভ চাইলে বিজেপি তাঁকে স্বাগত জানাতে সবসময় প্রস্তুত।
সৌরভের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সোমবার দিলীপ বলেন, ‘আমার কিছু জানার নেই। তিনি কী করবেন, কী না করবেন। তিনি আমাদের সম্মানীয় ব্যক্তি। আমাদের ক্যাপ্টেন ছিলেন।’ রাজ্যপালের সঙ্গে সৌরভের বৈঠক নিয়ে দিলীপের প্রশ্ন, ‘রাজ্যপালের সঙ্গে সৌরভের বৈঠক নিয়ে এত জল্পনার কী আছে?’ সঙ্গে যোগ করেন, বঙ্গের রাজনৈতিক অবস্থা শোচনীয়। তাই ‘ভালো’ লোকেদের বিজেপিতে আহ্বান জানানো হচ্ছে। দিলীপের কথায়, ‘তাঁর মতো সফল ব্যক্তিদের রাজনীতিতে আসা উচিত।’ দিলীপের সেই মন্তব্য যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুন: একুশের নির্বাচনের আগে বড় দায়িত্ব পেলেন শোভন, পদ-প্রাপ্তি হল বৈশাখীরও