ওয়েব ডেস্ক: কেরালায় এক গর্ভবতী হাতিকে হাসতে-হাসতে নৃশংসভাবে খুন করা হল। রীতিমতো যন্ত্রনা দিয়ে মারা হল গর্ভবতী হাতিটিকে। তাকে বাজিভরা আনারস খেতে দেওয়া হয়েছিল। আর সেই বাজি ভরা আনারস ফাটতেই ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় হাতিটির জিভ এবং মুখ। শুধু কি তাই। সন্তানকে বাঁচাতে এই অবস্থাতেও হাতিটি বহুক্ষণ দাঁড়িয়েছিল জলের মধ্যে। যদি সে বাঁচে, আসলে পেটের সন্তান তো ! এর পর নদীতে দাঁড়ানো অবস্থাতেই মারা যায় হাতিটি।
আরও পড়ুন: আশঙ্কা সত্যি করে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ, ১২৯ বছরে মহারাষ্ট্রে দ্বিতীয় ঝড়ের তাণ্ডব
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর কেরালার মালাপ্পুরম জেলায়। বনকর্মীরা জানিয়েছেন, হাতিটি বন থেকে লোকালয়ে চলে এলেও সে মানুষকে অত্যন্ত বিশ্বাস করত। তাই মানুষের দেওয়া সেই বাজি ভরা আনারস খেয়েও সে লোকালয়ে ছুটে বেড়িয়েছে টানা, কিন্তু কোনও বাড়ি বা মানুষের ছিটেফোঁটাও ক্ষতি করেনি সে।
বন বিভাগের অফিসার মোহন কৃষ্ণন না জানালে এমন নৃশংস কাণ্ড কোনওদিন হয়তো কেউ জানতেই পারত না। মানুষ কতটা নৃশংস হতে পারে তার আন্দাজও পাওয়া যেত না। বিনা দোষে একটি বন্য প্রাণকে এমন কষ্ট দেওয়ার কারণ কী? যাঁরা এমন জঘন্য কাজ করেছেন তাদের কাছেও কি এই প্রশ্নের উত্তর থাকবে?
কেরলের পালাককাড়ের এই ঘটনা সারা দেশে হইচই ফেলে দিয়েছে। যদিও পুলিস এই ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে কাউকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে মামলা রুজু হয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিস।
বন দফতরের কর্মীরা মনে করছেন, এপ্রিল মাসের শেষে কিংবা মে মাসের শুরুতে ঘটনাটি ঘটেছিল। হাতির অটপসি রিপোর্ট হাতে পেয়েছেন বন দফতরের কর্তারা। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, হাতিটি জখম হয়েছিল অন্তত কুড়ি দিন আগে। বন দফতরের অফিসার মোহন কৃষ্ণন গোটা ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছিলেন। আর তারপর থেকেই নিন্দার ঝড় উঠেছে।
আরও পড়ুন: যাবজ্জীবন সাজা রদ, মুক্তি পেলেন জেসিকা লালের হত্যাকারী মনু শর্মা