হাইকোর্টে অন্তর্বর্তীকালীন ছাড় পেলেন না অর্ণব গোস্বামী, আগামিকাল ফের শুনানি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

আপাতত স্বস্তি পেলেন না রিপালবিক টিভির এডিটর-ইন-চিফ অর্ণব গোস্বামী। বৃহস্পতিবার তাঁকে অন্তবর্তীকালীন কোনও ছাড় দিল না বম্বে হাইকোর্ট। বিচারপতি এস এস শিন্দে এবং বিচারপতি এম এস কর্নিকের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, বাদীপক্ষ এবং সরকারের সওয়াল ছাড়া কোনও নির্দেশ দেওয়া হবে না। আগামিকাল (শুক্রবার) দুপুর তিনটের সময় শুনানি হবে।

২০১৮ সালের আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় ‘অবৈধ গ্রেফতারি’-কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বম্বে হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেছেন অর্ণব। আলিবাগ পুলিশ যে এফআইআর দায়ের করেছেন, তা খারিজ করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে মামলার তদন্ত স্থগিত রাখার জন্য জরুরি ভিত্তিতে নির্দেশ জারির আর্জির পাশাপাশি অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার আবেদন করেছেন ৪৭ বছরের অর্ণব।

পিটিশনে বলা হয়েছে, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মিথ্যা এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া মামলায় ভুয়ো এবং অবৈধভাবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আবেদনকারী এবং তাঁর চ্যানেলের বিরুদ্ধে এটা রাজনৈতিক নিশানা এবং প্রতিশোধের একটি উপায়।’ তাতে আরও বলা হয়েছে, ‘নির্লজ্জভাবে আবেদনকারীর (অর্ণব) ব্যক্তিগত জীবনের মৌলিক অধিকার এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং মর্যাদা লঙ্ঘন করা হয়েছে। আবেদনকারী এবং তাঁর ছেলেকে হেনস্থা করা হয়েছে এবং গ্রেফতারির পর অর্ণবকে টেনেহিঁচড়ে পুলিশ ভ্যানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন: যোগীর সিএএ মন্তব্যে বেজায় চটেছেন নীতীশ, বিহার ভোটের মাঝেই শরিকি সঙ্ঘাত

২০১৮ সালে ৫৩ বছরের ইন্টিরিয়র ডিজাইনার অন্বয় নায়েক এবং তাঁর মা কুমুদ নায়েকের আত্মহত্যার ঘটনায় অর্ণব, ফিরোজ শেখ এবং নীতেশ সারদার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তিনজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। তবে গত বছর সেই মামলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছিল, যে তিনজনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে জোরালো কোনও প্রমাণ মেলেনি। পরে আলিবাগ পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অন্বয়ের মেয়ে আদনিয়া। তারপর চলতি বছরের মে’তে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, অন্বয় ও তাঁর মা’র মৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে তদন্ত শুরু হবে।

অর্ণবের আবেদনে দাবি করা হয়েছে, ‘ক্ষমতার অপব্যবহার, মিথ্যা তথ্য সাজানো এবং জোর করে আবেদনকারীকে গ্রেফতারের জন্য’ যে মামলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তা আবারও খোলা হয়েছে। যা প্রাথমিকভাবে তাঁর খবরের জন্য ‘প্রতিশোধ এবং প্রতিহিংসার’ কাজ মনে হচ্ছে। যেখানে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় থাকা লোকজনদের নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসারদের পেনশন কাটছাঁটের পরিকল্পনা করছে মোদী সরকার !

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest