চাল-ডাল-গমের দাম বেড়ে দেড় গুণ না হলে হস্তক্ষেপ করবে না মোদী সরকার !

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

এ বার থেকে যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ছাড়া খাদ্যশস্য মজুতে কোনও বিধিনিষেধ থাকবে না। এবার থেকে ১০০ টাকা কেজি দরের মুগ ডালের দাম বেড়ে অন্তত ১৫০ টাকা না-হলে কেন্দ্রীয় সরকার আর মাথা ঘামাবে না। পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা কেজি থেকে দ্বিগুণ বেড়ে ৮০ টাকা হলে তবেই সরকার নাক গলাবে।

চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, গম, ভোজ্য তেল, তৈলবীজ যত ইচ্ছে মজুত করার ছাড়পত্র দিতে অত্যাবশ্যক পণ্য আইনে সংশোধন বিলও সংসদে পাশ হয়ে গেল। লোকসভায় আগেই হয়ে গিয়েছিল। আজ বিরোধীরা রাজ্যসভার অধিবেশন বয়কট করার পরে বিনা বাধায় মোদী সরকার এই বিল পাশ করিয়ে নিল। আনাজের মতো পচনশীল খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রে দাম বেড়ে দ্বিগুণ হলে তবেই তা অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি বলে ধরা হবে।

আরও পড়ুন : Weather Update: আশ্বিনের সকালে মুখভার আকাশের, শুক্রবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা

আনাজের মতো পচনশীল খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রে দাম বেড়ে দ্বিগুণ হলে তবেই তা অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি বলে ধরা হবে। অর্থাৎ চাল-ডাল-গমের ক্ষেত্রে দেড় গুণ দাম বাড়লে তবে সরকার হস্তক্ষেপ করবে। কালোবাজারি, মজুতদারি রুখতে ১৯৫৫ সালে অত্যাবশ্যক পণ্য আইন চালু হলেও এখন তাতে সংশোধন দরকার— এই যুক্তি দিয়ে সংসদে খাদ্য ও গণবণ্টন প্রতিমন্ত্রী দানভে দাদারাও বলেন, ‘‘এতে চাষিদেরও লাভ, ক্রেতাদেরও লাভ।’’

লকডাউনের মধ্যেই মোদী সরকার কৃষি ক্ষেত্রের তিনটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল। বেসরকারি সংস্থাগুলি যাতে চুক্তির ভিত্তিতে চাষ করিয়ে নিয়ে সরাসরি চাষিদের থেকে ফসল, আনাজ কিনে নিতে পারে এবং সে ক্ষেত্রে চাষিরা যাতে ঠিকমতো ফসলের দাম পান, তার জন্য কৃষি পণ্য ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নয়ন ও কৃষকদের চুক্তি চাষে সুরক্ষা ও ফসলের মূল্য নিশ্চিতকরণ বিল আগেই সংসদে পাশ হয়ে গিয়েছে। এই দু’টি বিল নিয়েই বিরোধীদের আপত্তি না-শোনায় রবিবার রাজ্যসভায় তুলকালাম হয়। আজ অত্যাবশ্যক পণ্য আইনে সংশোধন বিল পাশ হওয়ায় কৃষি সংস্কারের তিন অধ্যাদেশকেই পাকা আইনের চেহারা দিতে আর বাধা থাকল না।

২০১৩ য় গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মোদী মনমোহন সরকারকে বলতেন, বিজ্ঞাপন না দিয়ে সে টাকা চাষিদের দিতে। এখন নিজে কী করছেন? কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘গমের এমএসপি মাত্র ২.৬% বেড়েছে। ২০১০-১১-এর পরে এমএসপি এত কম হারে বাড়েনি। কেন্দ্র চাষে খরচের দেড়গুণ এমএসপি দিচ্ছে বলে দাবি করলেও স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ মেনে চাষের পুরো খরচ হিসেবই করা হচ্ছে না।’’ সিপিএমের কিসান সভার নেতা হান্নান মোল্লা বলেন, ‘‘সরকার তো খাদ্য নিগমের মাধ্যমে এমএসপি-তে ফসল কেনাই কমিয়ে দিয়েছে।’’

এতে কাদের সুবিধা হবে তা মুখে না বললেও বুঝতে কারও অসুবিধা হবার কথা নেই। মোদী সরকারের অন্যতম সাফল্য হল তারা দেশবাসীকে বুঝিয়ে দিতে পেরেছে নিজেদের নাগরিক মনে করলেও আসলে তারা প্রজা ছাড়া কিছু নন।যেমন ছিলেন রাজরাজাদের আমলে। দেশবাসী যে বুজতে পারছে না তা নয়। কিন্তু আরএসএস তার নেটওয়ার্ক দিয়ে হিন্দু ভোটারদের একটা অংশকে বোঝাতে পেরেছে মুসলিমরা ‘হেবি’ চাপে পড়েছে। ফলে কাজে লেগে গিয়েছে ‘নাক কেটে যাত্রা ভঙ্গ ফর্মুলা’।মনে করছেন নিরপেক্ষেও রাজনীতি বিশ্লেষকরা।

আরও পড়ুন : RR vs CSK: ২ বলে ২৭ রান তুললেন আর্চার! স্যামসনের তাণ্ডবে ছয়ের রেকর্ড

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest