কলকাতা: মাস্ক না পরলে কোনও ক্রেতাকে মদ বিক্রি করতে পারবে না দোকানগুলি। দোকানের বাইরে মদের দামের তালিকা রাখতে হবে। এ ছাড়া কনটেনমেন্ট জোনে মদ বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকছে বলেও নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।
আবগারি দফতরের এ দিনের নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে যে, কোনও গ্রাহককে একসঙ্গে ২ বোতলের বেশি মদ বিক্রি করা যাবে না। মেনে চলতে হবে সামাজিক দূরত্ব। এ ছাড়া দোকানের বাইরে একসঙ্গে পাঁচ জনের বেশি ব্যক্তি যাতে না থাকেন, তা নিশ্চিত করতে হবে বিক্রিতাকে। একইসঙ্গে ‘অফ শপ’গুলিতে মদ বিক্রির জন্য খোলা থাকলেও, বন্ধ থাকছে বসে পান করার বার বা রেস্তোরাঁ। এমনকী শপিং মলও খোলা যাবে না।
আরও পড়ুন: আঙ্গুল কেটে পরে গেল সানির, দিশেহারা স্বামী ড্যানিয়েল, ঝড় নেটপাড়ায়
এ দিকে, মদ বিক্রি শুরুর খবরের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন সকাল থেকে কলকাতার বিভিন্ন স্থানে মদের দোকানের বাইরে ক্রেতাদের লম্বা লাইন পরে যায়। লকডাউন ভঙ্গের অভিযোগে কোথাও লাঠিচার্জ করে লোকজনকে সরিয়ে দেয় পুলিশ।
প্রায় ৪০ দিন পর আজ, সোমবার পশ্চিমবঙ্গ-সহ অধিকাংশ রাজ্যে মদের দোকান খুলেছে। এ রাজ্যে দুপুর ৩টের পরে মদের দোকান খুলবে বলে সরকারিভাবে জানানো হয়েছিল। আর দোকান খুলতেই উপচে পড়েছে ভিড়। ভিড় সামলাতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পাড়ায় লাঠি চালাতে হয় পুলিশকে। বিভিন্ন জায়গায় মদ বিক্রির সময় ঢিলেঢালা সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের ছবি ধরা পড়ে। মদের দোকান খোলায় এলাকার আইনশৃঙ্খলা ও সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বিধির ওপর কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে পুলিশকে। সেজন্য খোলা থাকা মদের দোকানের তালিকা রোজ পুলিশকে জমা দিতে হবে আবগারি কমিশনারকে। লকডাউন চলাকালীন মদের উপর বাড়তি ৩০% কর চাপিয়েছে রাজ্য সরকার। অর্থাৎ, সোমবার থেকে মদ কিনতে গেলে, অতিরিক্ত দাম গুনতে হবে রাজ্যবাসীকে।
অনলাইনে মদ বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছে আবগারি দফতরের তরফে। এক্ষেত্রে ফোনে অর্ডার নিয়ে তা গ্রাহকের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: নিয়মিত মেসেজ করতেন ঋষি! মৃত্যুতে মুষড়ে পড়লেন পাকিস্তানের এই অভিনেত্রী