দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ডেনমার্ককে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরো ২০২০-র ফাইনালে জায়গা করে নেয় ইংল্যান্ড। ম্যাচে ডেনমার্কের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ড্যামসগার্ড। ইংল্যান্ডের হয়ে একটি গোল হ্যারি কেনের। অপর গোলটি জায়েরের আত্মঘাতী। ফাইনালে ইটালির সামনে এবার ইংল্যান্ড (England)।
নির্ধারিত সময়ে খেলার ফল ছিল ১-১। খেলার দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক সুযোগ তৈরি করেছিল ইংল্যান্ড। হ্যারি ম্যাগুয়ের তিন বার হেড নিয়েছিলেন ডেনমার্কের গোল লক্ষ্য করে। কিন্তু প্রতিবারই ডেনমার্কের গোলকিপার স্মাইকেল থামিয়ে দেন ম্যাগুয়েরকে। ৯০ মিনিটের একেবারে শেষ লগ্নে গ্রিলিশের পাস ডেনমার্কের পেনাল্টি বক্সে কাঁপুনি ধরিয়ে দিলেও হ্যারি কেন তা থেকে গোল করতে পারেনি। ৯০ মিনিটের শেষে খেলার ফলাফল ১-১ হওয়ায় ম্যাচ যায় এক্সট্রা টাইমে। এক্সট্রা টাইমে ইংল্যান্ড সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটান হ্যারি কেন। রহিম স্টার্লিংকে ফাউল করা হলে পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। হ্যারি কেনের পেনাল্টি স্মাইকেল বাঁচালেও ফিরতি বল থেকে গোল করে যান ইংল্যান্ড অধিনায়ক। সেই গোল আর শোধ করতে পারেনি ডেনমার্ক।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, লিওনেল মেসিদের ফ্রি কিক দেখার জন্য মুখিয়ে থাকেন সবাই। এদিন ডেনমার্কের মিকেল ফ্রি কিক থেকে যে গোলটি করলেন, তা এককথায় দুর্দান্ত। তাঁর মারা শট যখন গোঁত খেয়ে গোলে ঢুকছে তখন শরীর ছুড়ে বল বাঁচানোর চেষ্টা করেন পিকফোর্ড। কিন্তু সেই যাত্রায় দলকে বাঁচাতে পারেননি তিনি। খেলার বয়স তখন ৩০ মিনিট। এই সময় ডেনমার্ক দাপট দেখালেও, গোল হজম করার পরে ইংল্যান্ড খোলস ছেড়ে বেরোয়। এর ঠিক ৯ মিনিট পরেই সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড। গোলটি অবশ্য সাইমনের আত্মঘাতী।
আরও পড়ুন: মুকুটে জুড়ল নয়া পালক, নজির গড়ে দেশকে জেতালেন মিতালি
দ্বিতীয়ার্ধে ইংল্যান্ড নিয়ন্ত্রণ করে ম্যাচ। ম্যাগুয়েরের একাধিক প্রয়াস ব্যর্থ করেন স্মাইকেল। ইংল্যান্ডের আগ্রাসনের সামনে ডেনমার্ক দাঁত কামড়ে ডিফেন্স করে যায়। সেই রক্ষণ ভাঙতে পারেননি ইংল্যান্ডের স্টার্লিং-হ্যারি কেনরা। ডেনমার্কের গোলকিপারও বারের নীচে হয়ে উঠেছিলেন অপ্রতিরোধ্য। এক্সট্রা টাইমে অবশ্য শেষ হাসি হাসল ইংল্যান্ড। দিনের শেষে ট্র্যাজিক নায়ক হয়েই থাকতে হল স্মাইকেলকে।
Harry Kane doesn’t want to mess his stats with penalties so he went for a straight goal ? #ENGDEN #EURO2020
— ? (@PeterInc_) July 7, 2021
সেমিফাইনালে ডেনমার্ককে হারিয়ে এই প্রথমবার ইউরো কাপের ফাইনালে ওঠে ইংল্যান্ড। এর আগে ১৯৬৮ ও ১৯৯৬ সালে ইউরো কাপের সেমিফাইনালে উঠেছিল ইংল্যান্ড। যদিও শেষ চারের হার্ডলেই আটকে যেতে হয় তাদের।
১৯৬৬ সালে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এই প্রথমবার ইংল্যান্ড বড় কোনও টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠে। সুতরাং ৫৫ বছর পর তারা ফের কোনও বড় টুর্নামেন্টের খেতাবি লড়াইয়ে জায়গা করে নেয়। বিশ্বকাপ ও ইউরো মিলিয়ে এত দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে ফাইনালে ওঠার নজির আর কোনও দেশের নেই। ইংল্যান্ড ১৯৯০ ও ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল।
55 – England have reached their first major tournament final in 55 years, since winning the 1966 World Cup on home soil. It's the longest gap between final appearances for any European nation in the history of the two competitions. Jubilation. #ENGDEN #EURO2020 pic.twitter.com/e333IaLOGQ
— OptaJoe (@OptaJoe) July 7, 2021
আরও পড়ুন: Wimbledon 2021: মিক্সড ডাবলস থেকে ছিটকে গেলেন Sania Mirza ও Rohan Bopanna