লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে ছাপিয়ে ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার হলেন পোলান্ডের জাতীয় টিমের ক্যাপ্টেন লেবানডস্কি।
বিশ্ব ফুটবলের দিকে অহোরাত্র চোখ রাখা এই ‘পোলিশ শিল্পী’ দক্ষিণ এশিয়ার ভারতীয় ভূখণ্ডে কম পরিচিত নাম নয়। ফুটবল যাঁরা ঘুমোন, যাঁরা ফুটবল নিয়ে বাঁচেন এমন কত সহস্র মানুষের ইতিমধ্যেই মোবাইলের ওয়ালপেপার হয়ে উঠেছেন তিনি। বুন্দেশলিগা, উয়েফা চাম্পিয়ান্স লিগ, ডিএফবি পোকাল প্রতিটি টুর্নামেন্টেই গত মরশুমে সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি।
বিশেষ করে বুন্দেশলিগায় পর পর তিনবার সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। বায়ার্নের জার্সি গায়ে গলানোর পর থেকেই এই পোলিশ ফুটবলারের পায়ের জাদু আরও যেন খুলে গিয়েছে। উয়েফা সুপার কাপ জিতেছেন, সেই সঙ্গে জিতেছেন সুপার কাপও। শুধু বুন্দেশলিগা নয় ডিএফবি কাপেও টানা চারবার তিনিই সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন।
শেষ মরসুমে ক্লাবের হয়ে ৪৭ ম্যাচে করেছেন ৫৫ গোল। চলতি মরসুমেও তিনি দুরন্ত ছন্দে। এখন পর্যন্ত বুন্দেসলিগায় ১৫ গোল হয়ে গেছে তাঁর। কয়েকদিন আগে তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে বুন্দেসলিগায় ২৫০ গোল করার নজির ও গড়ে ফেলেছেন
আরও পড়ুন: বিয়ের আসরেই স্ত্রী’র সঙ্গে ক্রিকেট খেললেন রহস্য স্পিনার বরুণ! নবদম্পতির ভিডিও পোস্ট করল KKR
High quality picture of a high quality man! ??@lewy_official #TheBest #FCBayern pic.twitter.com/h9dNyBhklZ
— ? MEISTER ? (@FCBayern) December 17, 2020
এবারও বর্ষসেরা ফুটবলার বাছাই পর্বে শীর্ষ তিন জনের নামের তালিকায় ছিলেন মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। সেই সঙ্গে অবশ্যই ছিলেন লেবানডস্কি। গোটা বিশ্বের বিভিন্ন জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন, ফুটবল সাংবাদিক সহ জুরিদের বিচারে লেবানডস্কিকেই বর্ষসেরা বলে বেছে নেওয়া হয়েছে। গত এক দশকে এই মেসি-রোনাল্ডোই মূলত আধিপত্য বজায় রেখেছিলেন বর্ষসেরার তালিকায়।
২০০৮ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মেসি (২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫, ২০১৯) ছ’বার এবং রোনাল্ডো (২০০৮, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৬ এবং ২০১৭) পাঁচবার এই খেতাব জয় করেছেন। ব্যতিক্রম বলতে ছিলেন, ২০১৮ সালে ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছিলেন লুকা মড্রিক। গত ১৩ বছরে মেসি-রোনাল্ডোর বাইরে তিনিই ছিলেন প্রথম ফুটবলার যিনি এই সম্মান আদায় করে নিয়েছিলেন। লেবানডস্কি এ বার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে যেন বললেন, আমি এসে গেছি, নতুন প্রজন্ম।
১৯৯১ সাল থেকে বর্ষসেরা ফুটবলার বাছাই করে পুরস্কার দেওয়া শুরু করে ফিফা। তার পর থেকে প্রায় তিন দশক কেটে গিয়েছে। বেয়ার্ন মিউনিখের কোনও ফুটবলার সেই খেতাব জেতেননি। সেদিক থেকেও লেবানডস্কি এই প্রথম। ফুটবল দুনিয়া কুর্ণিশ জানাচ্ছে তাঁকে।
লেভানডস্কির পাশাপাশি বর্ষসেরা কোচ হয়েছেন লিভারপুলের জুর্গেন ক্লপ। বর্ষসেরা গোলের জন্য ফেরেঙ্ক পুসকাস পুরস্কার জিতেছেন টটেনহামের সন হিউং মিন। তিনি ইপিএলে বার্নলির বিরুদ্ধে এই দুরন্ত গোলটি করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০২২ পর্যন্ত নির্বাসিত রাশিয়া, টোকিও অলিম্পিকে বাদ পুতিনের দেশ