সবাই সরকারি পরিষেবা পাচ্ছেন তো? দেখতে বসিরহাটবাসীর ‘দুয়ারে দুয়ারে’ সাংসদ নুসরত জাহান

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নিজস্ব সংসদীয় এলাকার মানুষজন ঠিকমতো সরকারি পরিষেবা পাচ্ছেন কিনা, তা নিয়ে আগাগোড়াই কড়া নজরদারি থাকে অভিনেত্রী নুসরত জাহানের (Nusrat Jahan)। এই অতিমারী আবহে গোটা লকডাউনে বসিরহাটের মানুষদের যাতে কোনওরকম কষ্ট না হয়, সেদিকেও খেয়াল রেখেছেন সাংসদ অভিনেত্রী। এবার জনগনের সুবিধে-অসুবিধের কথা শুনতে পৌঁছে গেলেন তাঁদের দুয়ারে দুয়ারে (Duare Duare)।

১ ডিসেম্বর থেকে রাজ্য জুড়ে  চালু হয়েছে সরকারের নতুন প্রকল্প ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’। এই প্রকল্প বা কর্মসূচির অধীনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনবেন প্রশাসনের কর্মীরা। সঙ্গে কেউ কোনও সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হলে তাঁকে সেই প্রকল্পের আওতায় আনার প্রক্রিয়াও শুরু করবেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এই কর্মসূচি। শনিবার সরেজমিনে বসিরহাটে এই প্রকল্পের কাজ কেমন চলছে তা দেখতে পৌঁছেছিলেন সাংসদ নুসরত জাহান।

আরও পড়ুন: ‘শুভেন্দুকে ৬ কোটি, সুজনকে ৯ কোটি, অধীরকে ৬ কোটি টাকা দিয়েছি’, মোদী-মমতাকে চিঠি সুদীপ্ত সেনের

এদিন এলাকার মানুষজনের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে কথাবার্তা বলেন নুসরত। মন দিয়ে শোনেন এলাকার মহিলাদের সমস্যার কথা। সাংসদকে কাছে পেয়ে বেজায় খুশি বসিরহাটবাসী। শুধু করোনা পরিস্থিতিই নয়, আমফানেও নুসরতরে সাংসদ এলাকার বিস্তৃর্ণ অঞ্চল প্রভাবিত হয়েছে। সেই সব বাধা অতিক্রম করে কেমন আছে এলাকাবাসী তাঁর খোঁজখবর নিলেন সাংসদ।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নুসরত জাহান, ‘আমি এখানে রাজনীতির কথা বলতে আসিনি। রাজনীতির কোনও বিষয় এখানে নেই। আমি দেখেছি মানুষ ভালো আছে কিনা দেখতে। এটাই দিদি চেয়েছে।সবাই ভালো থাকুক, সবার পরিবার, বউ-বাচ্চা খেয়ে পরে বাঁচুক।এটাই হচ্ছে, আমদের এটাই স্বপ্ন’।

বসিরহাটের সাংসদ আরও বলেন, মানুষের মুখে হাসি দেখছি, তাঁরা জানে মানুষ সুরক্ষিত। মানুষ সুবজ সাথী পাচ্ছে, স্বাস্থ্যসাথী পাচ্ছে। খুব সুন্দরভাবে এখানে ক্যাম্প আয়োজন করা হয়েছে আমাদের এখানকার নেতৃত্বের তরফে।… বাংলায় কিন্তু সত্যি ভালো থাকাটা সহজ’।

এই কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী, শিক্ষাশ্রী, রূপশ্রী ও কৃষক বন্ধুর মতো ১০টি প্রকল্প রয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের সকল মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পে রাজ্যের প্রতিটি পরিবার ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পাবে। এই সব প্রকল্প বা সরকারি পরিষেবার বিষয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে, সে সবও জমা নেওয়া হবে সেখানেই।

আরও পড়ুন: মালদহ জেলা তৃণমূল সভানেত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন মৌসম? মুখ খুললেন নেত্রী

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest