এ বার থেকে স্বাস্থ্যসাথীর উপভোক্তারা ভেলোরের ওই হাসপাতালে গেলে ক্যাশলেস পরিষেবার সুবিধা পাবেন। তবে তা নিয়েও এ বার শুরু হয়েছে বিতর্ক।
চলতি বছর জুনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে জানিয়েছিলেন, ভেলোরের সেই সিএমসি এবং নয়াদিল্লির ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস’-কে (এমস) রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। সেই ঘোষণার তিন মাসের মধ্যে, চলতি মাসে প্রায় নিঃশব্দেই ভেলোর সিএমসি চলে এসেছে স্বাস্থ্যসাথীর আওতায়।
আরও পড়ুন: চাহিদা বাড়ছে দিদিকে বলো কর্মসূচির, আজও দিদিকেই বলতে চায় বাংলার মানুষ
গত ৬ অক্টোবর থেকে স্বাস্থ্যসাথীর পোর্টালে ভেলোরে চিকিৎসার জন্য নাম নথিভুক্ত করা শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ছ’জন সেখানে নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। ট্রেন চলাচল শুরু হলেই তাঁরা ভেলোরে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় চিকিৎসা করাবেন বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। যদিও যাতায়াত বা ভেলোরে হোটেলে থাকার খরচ এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত হবে না।
ভেলোর সিএমসি স্বাস্থ্যসাথীর আওতাভুক্ত হওয়ামাত্র সমালোচনা শুরু করেছে বিরোধী বিজেপির চিকিৎসক সেল।এ ব্যাপারে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেটা রূপায়িত হয়েছে। ভেলোরে কিছু লোক যেতে চান, তাঁদের তো আটকানো যাবে না। বরং সেখানে গেলে যাতে চিকিৎসার জন্য নিজের পকেট থেকে টাকা খরচ করতে না হয়, সরকার সেই ব্যবস্থাই করেছে।’’
স্বাস্থ্য ভবনের অন্যতম শীর্ষ স্থানীয় এক কর্তার কথায়, ‘‘রাজ্যের চিকিৎসা পরিকাঠামোর যথেষ্ট উন্নতি সত্ত্বেও কিছু মানুষের মনে ভেলোর সম্পর্কে একটা বিশ্বাস কাজ করে, তাই তাঁরা সেখানে যান। এর সঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার মানের কোনও সম্পর্ক নেই।’’
স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, নয়াদিল্লির এমস-কে স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় আনার ব্যাপারে কথাবার্তা শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, স্বাস্থ্যসাথীতে রাজ্যের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ বিমা সংস্থার একটি কাউন্টার এমসে থাকবে। স্বাস্থ্যসাথীর কোনও উপভোক্তাকে ভর্তি করার সময়ে এমসে কোনও টাকা জমা দেওয়ার প্রয়োজন হলে তা দেবেন ওই কাউন্টারের প্রতিনিধিই।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর শারদ উপহার: বেসরকারি সংস্থায় করোনা পরীক্ষার খরচ কমে ১৫০০ টাকা, নিয়োগ আড়াই হাজার নার্স