১৫-‌২০ বিঘা জমি নদীগর্ভে! মালদহের কালিয়াচক অঞ্চলে গঙ্গার ভাঙ্গনে আতঙ্ক

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

মালদহের কালিয়াচক 2 নম্বর ব্লক বাঙ্গিটোলা অঞ্চলের গঙ্গা ভাঙ্গন দীর্ঘ ১৫ বছর পর নতুন করে আবার বাঙ্গিটোলা অঞ্চলে গঙ্গার ভাঙ্গনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এলাকার মানুষের কথায় প্রায় কয়েক বিঘার মত ভাঙ্গনে কেটে তলিয়ে গেছে নদীতে। বাড়ি ঘর ভাঙার খবর নেই তবে চাপ ও আতঙ্ক রয়েছে ওই এলাকাজূড়ে।

এলাকাবাসী পরিমল মন্ডল জানান, আমরা খুবই আতঙ্কে, রাত জেগে পাহারা দিচ্ছি গ্রামবাসী। আমাদের বাড়ি পুরাতন খাসমাইল থেকে উঠে এসে বাঙ্গীটোলায় ঠাই নিয়েছিলাম আবার যদি বন্যা হয় তাহলে আমরা কোথায় যাব? প্রশাসনের কাছে আবেদন যে আমাদের জন্য বিকল্প কিছু একটা ব্যবস্থা করা হোক।

শুক্রবার বিকেলে পরিদর্শনে কালিয়াচক ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি টিংকুর রহমান বিশ্বাস ও সংশ্লিষ্ট ব্লকের কর্মদক্ষ আলমগীর চিস্তী, কর্মদক্ষ আমিনুর আলম, কর্মদক্ষ মিরা বিবি প্রমুখ। এদিন গঙ্গা ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করে মানুষের সাথে কথা বলেন এবং তাদের সম্পূর্ণভাবে ব্লকের পক্ষ থেকে পাশে থাকার আশ্বাস দেন এবং তাদের প্রতি মূহুর্তে তৎপর ও সতর্কতা থাকার নির্দেশ দেন কালিয়াচক ২ নং ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি টিঙ্কুর রাহমান বিশ্বাস । তিনি বলেন, এই এলাকায় দীর্ঘ ১৫ বছর পর আবার গঙ্গা ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এটা আমাদের এলাকার জন্য জাতীয় বিপর্যয়। যেকোনো মূহুর্তে বাঙ্গীটোলা অঞ্চলের কয়েকটি গ্রাম বন্যায় কবলিত হতে পারে৷ অতএব আমরা বিভিন্ন দিক থেকে এলাকার মানুষদের সতর্কতা জারি করা হচ্ছে এছাড়াও আগামীতে বন্যার সম্ভাবনা হলে আমরা বিভিন্ন হাই স্কুল ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থাকার সু ব্যবস্থা করা হবে ব্লকের পক্ষ থেকে বলে জানান।

WhatsApp Image 2020 08 21 at 6.54.44 PM 1

আরও পড়ুন: বাড়াতে হবে ভাড়া, রাজ্য জুড়ে অনশনে বসার সিদ্ধান্ত বেসরকারি বাস মালিকদের

স্থানীয় কৃষ্ণ মন্ডল, শ্যামল মন্ডল বলেন, গঙ্গার ভাঙ্গন অভিজ্ঞতা রয়েছে আমাদের। এক বিশাল সমস্যা। স্বাভাবিক ভাবে গঙ্গার ভাঙ্গনকে বিশ্বাস করতে পারছেন না এলাকার বাসিন্দারা। নদীর পাশে ক্রমান্বয়ে ৫-৬ জন করে ভাঙ্গন আতঙ্কে রাত জাগছেন। আমিনুর আলম এলাকা পরিদর্শনের পর ভাঙ্গন সমস্যার কথা ব্লক ও জেলা প্রশাসনের কাছে তুলে ধরবেন ও স্থায়ী মেরামতের দাবী জানাবেন জানিয়েছেন বনভূমি সংস্কার কর্মদক্ষ আমিনুর আলম।

গত এক সপ্তাহ ধরে ধীরে ধীরে ভাঙ্গন হলেও রবি ও সোমবার এই ভাঙ্গন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। গঙ্গা এখানে ‘‌ইউ’‌ আকার ধারণ করে ৪০-‌৫০ ফিট লোকালয়ের দিকে সরে এসেছে। গঙ্গার ধার বরাবর ১৫-‌২০ বিঘা জমি গঙ্গাগর্ভে তলিয়ে গেছে। এখন বাঁধের কাছাকাছি গঙ্গা। গঙ্গার তীরবর্তী পঞ্চনন্দপুর এবং বাঙিটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার পরিবার চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

আরও পড়ুন: তথাগত কি ফের ফিরছেন বঙ্গ রাজনীতিতে, টুইটে এ কীসের ইঙ্গিত!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest