বুধবার বিকেলে পুরুলিয়ার আড়শার তানাসি গ্রামের একটি পরিত্যক্ত কুয়ো থেকে ওই দম্পতির মুন্ডু উদ্ধার হয়। তবে এই ঘটনায় আততায়ীদের কোন খোঁজ মেলেনি। পুলিশ জানতেও পারেনি এই ঘটনার মোটিভ কি?
গত শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ অযোধ্যা পাহাড়তলির তানাসি গ্রাম থেকে ওই বৃদ্ধ দম্পতির মুন্ডুহীন মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু ঘটনার পাঁচদিন পরেও কোন সূত্র পায়নি তারা। কার্যত অন্ধকারেই হাতড়ে বেড়াচ্ছে। তবে আড়শা থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ওই পরিত্যক্ত কুয়োর কাছ থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে এলাকার মানুষজন উঁকি দিয়ে দেখেন। তখনই তারা দেখতে পান ঝোঁপের মধ্যে মাথার একটি অংশ দেখা যাচ্ছে। ফলে চমকে ওঠেন এলাকার মানুষজন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই কুয়োতে কোন জল নেই। ঝোপে ভরতি।
পাঁচ-সাত ফুট নিচেই ওই দুটি মু্ন্ডু উদ্ধার হয়। তবে এই ঘটনার নেপথ্যে জমি সংক্রান্ত কোন বিবাদ নাকি বছর কুড়ি আগের ‘ডাইনি’ বলে অপবাদ দেওয়ার বিষয়ের কোনও যোগ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিন্তু ওই গ্রামের কোন বাসিন্দাই কিছু বলতে চাইছেন না। তাই ঘটনার কিনারায় পুলিশকে খানিকটা বেগ পেতে হচ্ছে।
পাতই মাঝি ও লেশকি মাঝি নামে ওই দম্পতির বাড়ি পুরুলিয়ার (Purulia) তানাসিতেই। চাষাবাদ ও প্রাণীপালন করে তাঁদের সংসার চলত। বছরখানেক আগে জমির পাট্টা নিয়ে তাঁদের আত্মীয়দের মধ্যে একটা ঝামেলা হয়। কিন্তু তা মিটমাটও হয়ে যায়। তাছাড়া বছর কুড়ি আগে পড়শিরা খুন হওয়া বৃদ্ধাকে ‘ডাইনি’ বলায় একটা ঝামেলা হয়। ওই ঘটনায় গরু বিক্রি করে তাঁদের জরিমানাও দিতে হয়।