হাতছানি দিচ্ছে নির্জনতা! ঘুরে আসুন সিকিমের এই তিন জায়গা থেকে

সোলো ট্রিপ হোক কিংবা প্রিয়জনের সঙ্গে একান্তে কাটাবেন কয়েকদিন--- এমনটা ভেবে থাকলে ঘুরে আসতে পারেন ডজ়ঙ্গু, গ্যালশিং এবং ছায়াতাল থেকে।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

আপনি কি পাহাড়ে বেড়াতে ভালবাসেন? তাহলে নিশ্চয় চেনা-পরিচিত জায়গায় তুলনায় পাহাড়ের কোলে শান্ত কোনও অফবিট জায়গা আপনার বেশি পছন্দ হবে। সেই জন্যই আপনার ভ্যাকেশন ডেস্টিনেশন হিসেবে রইল সিকিমের তিনটি অচেনা জায়গায় হদিশ। পাহাড়ের মধ্যে কয়েকটা দিন দারুণ ভাবে কাটিয়ে আসতে পারবেন আপনি। সোলো ট্রিপ হোক কিংবা প্রিয়জনের সঙ্গে একান্তে কাটাবেন কয়েকদিন— এমনটা ভেবে থাকলে ঘুরে আসতে পারেন ডজ়ঙ্গু, গ্যালশিং এবং ছায়াতাল থেকে।

ডজ়ঙ্গু

সিকিমের পশ্চিমভাগে অবস্থিত এই এলাকা আদতে লেপচাদের বাসস্থান। সিকিমের আসল বাসিন্দা এই লেপচারাই। পাহাড়ে ঘেরা এই ডজ়ঙ্গু তিস্তা এবং চু নদীর পূর্বে অবস্থিত এক অপূর্ব সুন্দর জায়গা। সিকিম টুরিজ়মের অনুমতি থাকলে তবেই আপনি এই গ্রামে প্রবেশ করতে পারবেন। পাহাড় ছাড়াও এখানকার অন্যতম আকর্ষণ চারপাশের ঘন জঙ্গল। একদম রহস্য-রোমাচে ভরপুর এই ডজ়ঙ্গু গ্রাম। পাহাড় আর জঙ্গল ছাড়াও এখানে রয়েছে চোখের আরাম দেওয়া সবুজ উপত্যকা, কাসকেড জলপ্রপাত, এলাচের ক্ষেত। আর রয়েছে স্থানীয় লেপচা পরিবারের আতিথেয়তা। এখানে গেলে লেপচাদের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পাশাপাশি ঘুরে দেখতে পারবেন ঐতিহ্যশালী লেপচা হাউস মিউজিয়াম এবং হি গ্যাংথাং। এই হি গ্যাংথাং হল লেপচাদের পবিত্র হ্রদ।

আরও পড়ুন: শীতের রোদ গায়ে মেখে ঘুরে আসতে পারেন বড়ন্তি লেক ও গড়পঞ্চকোটের সবুজ পাহাড় থেকে

গ্যালশিং

পশ্চিম সিকিমের রাজধানী এই গ্যালশিং। এখানে রয়েছে ঐতিহাসিক পেমইয়াংস্তে মন্সট্রি। এছাড়াও রয়েছে খেচিওপালরি লেক। বলা হয়, এই লেকের জল এতই স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার যে, নীচে ভাসমান সমস্ত নুড়ি-পাথরও স্পষ্টভাবে দেখা যায়। হিমালয়ে যাওয়ার অনেক ট্রেকিংয়ের শুরু হয় এই গ্যালশিং থেকেই।

ছায়াতাল

সিকিমের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য লেক বা তাল। তারই মধ্যে একটি হল ছায়াতাল। শহুরে কোলাহল থেকে দূরে নির্জনতায় যাঁরা ছুটি উপভোগ করতে চান, তাঁদের জন্য ছায়াতাল আদর্শ জায়গা। হাতেগোনা কয়েকটি হোমস্টে থাকায় এখানে কখনই পর্যটকদের ভিড় থাকে না। তাই শান্ত জায়গা হিসেবে ভ্যাকেশন ডেস্টিনেশন বেছে নিতে চাইলে প্রিয়জনের সঙ্গে আসতেই পারেন ছায়াতাল। প্রকৃতির কোলে থাকতে হলে বেছে নিন একটা হোমস্টে। তারপর ছায়াতালের পান্না সবুজ জল আর ব্যালকনি থেকে শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখে দিন কীভাবে কেটে যাবে টেরও পাবেন না।

আরও পড়ুন: বরফ-রামধনু মাখামাখি! ‘Half-Frozen’ নায়াগ্রা ফলস দেখতে পর্যটকদের ভিড়, ভিডিও চমকে দেবে…

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest