Palghar fishermen selling 157 ghol fish for Rs 1.33 crores

রাতারাতি ভাগ্যবদল! ১৫৭টি মাছের দাম ১ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা, কোটিপতি হলেন ৮ মৎস্যজীবী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) পালঘরের কয়েকজন মৎস্যজীবী (Fisherman) যখন মাছ ধরতে গিয়েছিলেন, তাঁরা ভাবেনওনি রাতারাতি জীবন বদলে যেতে চলেছে। গভীর সমুদ্রে জাল ফেলে বিভিন্ন মাছের সঙ্গে তাঁরা ধরে ফেলেন ১৫৭টি ঘোল মাছ। আর সেই মাছগুলি বিক্রি হয় ১ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকায়। যার ফলে চোখের নিমেষেই বদলে গিয়েছে ওই মৎস্যজীবীদের জীবন।

২৮ অগস্ট সন্ধ্যায় হারবা দেবী থেকে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলেন চন্দ্রকান্ত তারে। আট জন সহকর্মীকে নিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই যাত্রাতেই তাঁদের জালে জড়িয়েছে দুর্মূল্য এই মাছ। তার পর পালঘরের মুরবে এলাকায় নিলামে তোলা হয় ওই মাছগুলি। সেখানেই উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের ব্যবসায়ীরা কিনেছেন এই মাছ। ঘোল মাছ ‘সি গোল্ড’ নামেও পরিচিত। এর বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘প্রোটোনিবিয়া ডায়াকানথুস’।

এই মাছের প্রত্যেকটি অংশ ওষুধ এবং প্রসাধন তৈরির কাজে ব্যবহত হয়। ওষুধ, প্রসাধন, দেহের সঙ্গে মিশে যাওয়া সেলাইয়ের সুতো-সহ বিভিন্ন জিনিস তৈরিতে ব্যবহার করা হয় এই মাছ। হংকং, মালয়েশিয়া, তাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, জাপানে এই মাছের বিপুল চাহিদা রয়েছে। কিন্তু দূষণের জন্য অনেক কমেছে ঘোল মাছ। তা পেতেই ভাগ্য ফিরতে চলেছে ওই মৎস্যজীবীদের।

বৃষ্টি-দুর্যোগের ধাক্কায় মহারাষ্ট্রে মাছ ধরা প্রায় নিয়মিতই নিষিদ্ধ থেকেছে। ফলে সমস্যায় পড়তে হয়েছে মৎস্যজীবীদের। ফলে সময়টা একেবারেই ভাল যাচ্ছিল না চন্দ্রকান্ত তারের। ওই মৎস্যজীবী গত বেশ কয়েকদিন নিষেধাজ্ঞার কারণে মাছ ধরতে যেতে পারেননি। অবশেষে নিষেধাজ্ঞা উঠলে তিনি তাঁর আট সহকর্মীর সঙ্গে মাছ ধরতে যান। গভীর সমুদ্রে এখনও মেলে ঘোল মাছ। এবার তাই সেখানেই একসঙ্গে এতগুলি ঘোল মাছ পেয়েই প্রবল লাভ করলেন চন্দ্রকান্ত ও তাঁর সঙ্গীরা।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest