সদ্য গঠিত হয়েছে রাজ্য বিজেপির নতুন কমিটি। শুক্রবার বৈঠকের পর শনিবার সকালে অধিকাংশ জেলা সভাপতিকে অপসারণ করল বিজেপি। ৩৯টি সাংগঠনিক জেলা ছিল বিজেপির। এ বার সেটা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪২টি। নতুন তিন সাংগঠনিক জেলা হল বোলপুর, মালদহ দক্ষিণ এবং জয়নগর। প্রত্যেকটির জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে এক জন করে সভাপতি।
নজর ২০২৪এর লোকসভা নির্বাচন। উনিশের লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গের ফলাফল বিজেপির কাছে মোটের উপর সন্তোষজনক ছিল। ৪২ আসনের মধ্যে ১৮ টি আসন দখল করেছিল বিজেপি। পরে সাংসদরা দলবদল করায় সেই সংখ্যা আরেকটু বেড়ে যায়। ২০২৪ সালের ভোটে এই সংখ্যা আরও বাড়ানোই লক্ষ্য গেরুয়া শিবিরের। সেই লক্ষ্যেই সংগঠনে ফের আগাগোড়া রদবদল করল শীর্ষ নেতৃত্ব। কলকাতা (Kolkata) থেকে জেলা – সর্বস্তরে দলকে ঢেলে সাজানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: BJP: রাজ্য সংগঠনে ব্যাপক রদবদল, পদ থেকে সরলেন সৌমিত্র-অগ্নিমিত্রা
সদ্য কলকাতা পুরভোটে (KMC Election) বিজেপির লজ্জাজনক ফলাফল হয়েছে। ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র ৩ টির দখল নিয়েছে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীরা। এই ব্যর্থতার কথা মাথায় রেখে উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার জেলা সভাপতি বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। মোট ৩০ টি জেলার সভাপতি পদে বদল আনা হয়েছে।নতুন জেলা সভাপতি ও জেলা ইনচার্জদের নামও জানিয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
সাংগঠনিকভাবে বীরভূমকে (Birbhum) দু’টি জেলায় ভাগ করল বিজেপি। দু’জন আলাদা সভাপতি নিযুক্ত করা হল। মনে করা হচ্ছে, আগামী বছর রাজ্যের পুরসভাগুলির ভোটের কথা মাথায় রেখে এই বাছাই। উল্লেখযোগ্যভাবে, বিজেপির রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়ার পর এবার জোনের আহ্বায়ক পদও খোয়ালেন সায়ন্তন বসু। ফলে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে আরও জল্পনা বাড়ল। ইতিমধ্যেই তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন তৃণমূলের এক বিধায়ক।
আরও পড়ুন: এবার মতুয়া নিয়ে চাপে বিজেপি, দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন ৫ মতুয়া বিধায়ক