দিনকয়েক ধরে একের পর এক টুইট করেছেন। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে উগরে দিয়েছেন ক্ষোভ। তা নিয়ে অস্বস্তিতে পদ্ম শিবির। তারই মাঝে শনিবার সকালে আরও একবার বোমা ফাটালেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায় (Tathagata Roy)। বিদায় জানিয়ে টুইট করলেন তিনি। তবে কি এবার সত্যিই বিজেপি ছাড়ছেন নাকি দল সম্পর্কে টুইট করা থেকে বিরত থাকবেন, তাঁর টুইট ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা।
এদিন তথাগত রায় এক টুইট বার্তায় লেখেন, ‘কারুর কাছ থেকে বাহবা পাবার জন্য আমি টুইটগুলো করছিলাম না। দলের কিছু নেতৃস্থানীয় লোক যেভাবে কামিনী-কাঞ্চনে গা ভাসিয়েছিলেন সেটা সম্বন্ধে দলকে সজাগ করার জন্য করছিলাম। এবার ফলেন পরিচয়তে। পুরভোটের ফলের জন্য প্রতীক্ষায় থাকব। আপাতত বিদায়, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি!’
কারুর কাছ থেকে বাহবা পাবার জন্য
আমি টুইটগুলো করছিলাম না। দলের কিছু নেতৃস্থানীয় লোক যেভাবে কামিনী-কাঞ্চনে গা ভাসিয়েছিলেন সেটা সম্বন্ধে দলকে সজাগ করার জন্য করছিলাম।
এবার ফলেন পরিচীয়তে। পুরভোটের ফলের জন্য প্রতীক্ষায় থাকব।
আপাতত বিদায়, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি !— Tathagata Roy (@tathagata2) November 20, 2021
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই ‘বেসুরো’ হয়েছেন তথাগত রায়। বিধানসভায় বিজেপির হারের পর থেকেই দিলপ ঘোষ, অরবিন্দ মেনন, কৈলাস বিয়বর্গীয়দের বিরুদ্ধে বেলাগাম আক্রমণ শানিয়েছেন তথাগত। দিলীপ ঘোষ এর প্রেক্ষিতে তথাগতকে দল ছাড়ার ‘পরামর্শ’ দিয়েছিলেন। আর দিলীপের সেই ‘পরামর্শের’ পরই টুইটার ও ফেসবুকে তথাগত রায়ের ‘বায়ো’ বদলে গিয়েছিল।
‘বায়ো’ বদল করার বিষয়টি টুইট করে নিজেই জানান তথাগত রায়। তিনি লেখেন, ‘সাধারণ একটি তথ্য: আমার প্রোফাইলের বিবরণীতে একটা ছোট্ট বদল করেছি। এতদিন যেখানে ‘ছবিতে দেখা যাচ্ছে আইকনিক রবীন্দ্র সেতু’ লেখা ছিল, সেখানেই এখন ‘সম্প্রতি হুইসেলব্লোয়ার’ লেখা হয়েছে।’ তারপরই আরও একটি টুইটে তিনি লেখেন, ‘আমি ‘বিজেপি’ শব্দটিও লিখেছি যাতে লোকে অন্য কোনও কিছু না ভেবে বসে।’ তবে এবার তথাগত রায়ের ‘বিদায়’ জানানো ঘিরে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
এর প্রেক্ষিতে টুইটে কুণাল লিখেছেন, ‘বাংলার রাজনৈতিক বিনোদন জগতে এ এক অপূরণীয় সাময়িক ক্ষতি। তিনি যে দক্ষতায় দর্শককে হাসাতেন, তাঁর অবদান মানুষ মনে রাখবেন। পাগলা দাশুর নাটকে ‘আবার সে এসেছে ফিরিয়া’-র মত সংলাপের অপেক্ষায় থাকব। তবে কামিনী অংশ বাদ দিলেও কাঞ্চন অংশে সিবিআই, ইডির তদন্তের দাবি থাকলই।’
বাংলার রাজনৈতিক বিনোদন জগতে এ এক অপূরণীয় সাময়িক ক্ষতি।
তিনি যে দক্ষতায় দর্শককে হাসাতেন, তাঁর অবদান মানুষ মনে রাখবেন।
পাগলা দাশুর নাটকে 'আবার সে এসেছে ফিরিয়া'-র মত সংলাপের অপেক্ষায় থাকব।
তবে কামিনী অংশ বাদ দিলেও কাঞ্চন অংশে সিবিআই, ইডির তদন্তের দাবি থাকলই। https://t.co/s9Xx6wOMy7— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) November 20, 2021