ওয়েব ডেস্ক: করোনার জন্য উত্তরপ্রদেশে এনপিআরের (NPR) কাজ পিছিয়ে গেল অনির্দিষ্টকালের জন্য। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। ২০২১ সালে জনগণনা হওয়ার কথা ছিল। তার আগে এনপিআর শেষ করতে বলা হয়েছিল রাজ্যগুলিকে।
এনপিআর নিয়ে অমিত শাহ দেশ জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরী করেছিলেন বলে অভিযোগ ছিল বিরোধীদের। ধর্মকে নাগরিকত্বদানের ক্ষেত্রেও ইস্যু বানানো হয়েছিল সচেতন ভাবে। সংখ্যাগরিষ্টদের কাছে বার্তা দেওয়া হয়েছিল যে তাদের কোনো ভয় নেই। মুসলিম ছাড়া বাকি সকলকে একপ্রকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। বারবার অনুপ্রবেশকারী বলে কাদের দেশ থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া হয়েছিল তা বুঝতে বাকি ছিল না কারও। এক কথা এনপিআর এবং এনআরসিকে ভয় দেখানোর অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বাঁশের স্ট্রেচারে শুয়ে আহত শিশু, কাঁধে নিয়েই ১৩০০ কিমি পাড়ি শ্রমিক পরিবারের
করোনা সংক্রমণ রুখতে গোটা দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সকলকে বাড়ি থেকে না বেরনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। লকডাউন রুখতে বলপ্রয়োগ করতে শুরু করেছে পুলিশ। গোটা দেশে এখন করোনা ভাইরাসের থাবা। মোদী সরকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে এনপিআর এবং জনগণনা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার আগে নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জী (NRC) বিরোধিতায় মুখর হয়ে ওঠে দেশের বিভিন্ন রাজ্য। এর মধ্যে সব থেকে বেশি প্রভাব পড়ে উত্তরপ্রদেশে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বাধে। ইটবৃষ্টি থেকে শুরু করে গাড়িতে আগুনও দেওয়া হয়। এর জেরে মৃত্যুও হয় বেশ কিছু আন্দোলনকারীর।
আরও পড়ুন: ফের পথ দুর্ঘটনা, দুই লরির সংঘর্ষে উত্তরপ্রদেশে মৃত ২৩ পরিযায়ী শ্রমিক