ওয়েব ডেস্ক: শনিবার এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকলো কানাডা। করোনা আতঙ্কের আবহে বন্দুকবাজের হামলা। পুলিসের বেশে প্রত্যেক বাড়িতে ঢুকে হামলা চালাল শ্বেতাঙ্গ এক বন্দুকবাজ। তাতে কমপক্ষে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা। এমনটাই আশংকা করা হচ্ছে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার রাতভর বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়ে বেড়ায় ওই দুষ্কৃতী।যদিও রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে কুলুপ আঁটে পুলিস। বিষয়টি তদন্তাধীন বলে জানানো হয়েছে।
পশ্চিমী দুনিয়ায় বন্দুকবাজের হামলা খবরটি ক্রমশ রুটিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এদের গুলিতে কত যে মানুষের প্রাণ যাচ্ছে তার হদিস মেলা ভার। তারপর বন্দুকবাজ এই শব্দ দিয়েই আততায়ীদের অপরাধ কোটায় একটা লঘু করে দেখানোর প্রবণতা রয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। এদের জঙ্গি হিসাবে চিহ্নিত করা উচিত।
আরও পড়ুন: উহানের ল্যাবেই তৈরি করা হয়েছে করোনা, নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীর মন্তব্যে চাঞ্চল্য
পুলিসের বেশে বাড়ি বাড়ি ঢুকে যে ব্যক্তি হামলা চালিয়েছে, তাঁর নাম গ্যাব্রিয়েল রটম্যান। বছর একান্নর রটম্যানের এ ধরনের হামলার পিছনে কী উদ্দেশ্য স্পষ্ট না হলেও পুলিস জানিয়েছে, উদ্দেশ্যহীন ভাবেই মানুষ মারতে শুরু করে অভিযুক্ত।
এই হামলার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের এক মহিলা অফিসার হেইদি স্টিভেনসন। টানা ২৩ বছর তিনি এই পেশায় ছিলেন। এছাড়াও পুলিস কমিশনার বার্গারম্যান জানিয়েছেন, দুজন শিশু তাঁদের মাকে হারিয়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এই ঘটনাকে “ভয়ানক” বলে মন্তব্য করেছেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পুলিস জানিয়েছে, যে ধরনের গাড়ি ব্যবহার করেছে দুষ্কৃতী, সেই গাড়ি মূলত পুলিস ব্যবহার করে। গাড়ি চালিয়ে এক একটা বাড়ির সামনে পৌঁছয় সে। তারপর গাড়ি থেকে নেমে গুলি চালিয়ে আবার অন্য একটি বাড়ির দিকে চলে যায়। এই ভাবে টানা ১২ ঘণ্টা নোভা স্কোশিয়া দাপিয়ে বেড়ায় বন্দুকবাজ। দুস্কৃতী যে গাড়ি ব্যবহার করেছিল এবং পুলিসের গাড়ির মধ্যে শুধুমাত্র নম্বর প্লেটের ফারাক। এছাড়া কল-৯১১ লেখাও ছিল।
পুলিস জানিয়েছে দুষ্কৃতী মারা গেছে। তবে মৃত্যুর কারণ খোলসা করে জানায়নি কানাডার পুলিস।
আরও পড়ুন: CORONA: সব দেশের সরকারকে রমজান মাসের গাইডলাইন দিল WHO