হ্যারি পটার আর বাহুবলীর গল্পে কোথাও যেন হারিয়ে যাচ্ছে বাংলার নিজস্ব রূপকথা। এখনকার প্রজন্মের ঠিক কতজন অবনঠাকুর, উপেন্দ্রকিশোর পড়ে তা কিন্তু হাতে গুনে বলা যায়। কিন্তু রূপকথার গল্পের সঙ্গে জুড়ে থাকে নস্ট্যালজিয়া। সেই নস্ট্যালজিয়া ফিরিয়ে দিতে আর এখনকার প্রজন্মের সঙ্গে বাংলার এই রূপকথার পরিচয় করাতেই এল ক্ষীরের পুতুল।
বাংলা শিশু সাহিত্যে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ক্ষীরের পুতুল’। বাংলা ভাষায় শিশু সাহিত্য বিকাশের প্রাথমিক পর্যায়ের একটি উল্লেখযোগ্য নিদর্শন এটি। রবীন্দ্রনাথের স্ত্রী মৃণালিনী দেবীর মৃত্যুর পর তার ডায়েরি থেকে এ গল্পের প্লট পেয়েছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এরপর নিজের মত করে লিখেই তিনি এই রূপকথাধর্মী কাহিনিটির জন্ম দেন। পরবর্তীতে ইংরেজি, ফরাসি, সুইডিশ, হিন্দি, মারাঠি সহ বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয় ‘ক্ষীরের পুতুল’।
আরও পড়ুন: জোনস পরিবারে এল নতুন সদস্য, মা হলেন ‘গেম অফ থ্রোনস’ খ্যাত সোফি টার্নার
https://www.instagram.com/p/CDJKwjahWB0/
এই সিরিয়ালে রাজা স্যমন্তকের ভূমিকায় দেখা যাবে সুমন দে-কে। সদ্য শেষ হয়েছে নকশি কাঁথা। সেখানেই যশোজিৎ এর ভূমিকায় অভিনয় করতেন তিনি। সুধা অর্থাৎ রাজার দুয়োরানি সুদীপ্তা রায়। ফার্স্ট ইয়ারের পড়ুয়া সুদীপ্তা এখনই বানর কুমারের মা। অন্যদিকে সুয়োরানির ভূমিকায় শ্রীতমা রায়চৌধুরী। যে ভাবে একদিন এই সাম্রাজ্য হবে তারই অধীনস্ত। এই সিরিয়ালে গল্পের সঙ্গে থাকছে নানা ম্যাজিক। থাকবেন ষষ্ঠী ঠাকরুণ, বাঁদর কুমার। আর বইতে পড়া ক্ষীরের ছেলের বিয়ে মনে আছে? তাও কিন্তু থাকছে। এই প্রথম সুদীপ্তা রায় ও সুমন দে-র জুটিকে দেখা যাবে। ওদিকে শ্রীতমা রায়চৌধুরী ও সুমন দে-র জুটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল বধূবরণ ধারাবাহিকে। সেখানেও ঝিলমিল নামক চরিত্রটি ছিল নেগেটিভ, আবার এখানেও সুয়োরানির ভূমিকায় নেগেটিভ চরিত্রেই এলেন শ্রীতমা।
এই সিরিয়ালোর পরিচালক অমিত দাস। এর আগে তিনি সাত ভাই চম্পা পরিচালনা করেছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি গ্রাফিকও খুব গুরুত্বপূর্ণ এই সিরিয়ালে। থাকবে স্পেশ্যাল এফেক্ট। যেহেতু অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট একটি গল্প থেকে ধারাবাহিক, তাই স্বাভাবিকভাবেই এখানে অনেক কিছু সংযোজন হবে। মূল তিনটি চরিত্রের ব্যাকস্টোরি আসবে, রাজার অভিযানগুলিও বেশ বিস্তৃত আকারে দেখা যাবে।
https://www.instagram.com/p/CDJWULKhSu4/
ছোটরা তো দেখবেই পাশাপাশি বড়দের জন্যও কিন্তু খুব আকর্ষনীয় এই সিরিয়াল। লকডাউনের আগেই দেখানো হয়েছিল প্রোমো। কিন্তু লকডাউনের জন্য শ্যুটিং শুরু করা যায়নি তখন। মাসখানেক আগেই শুরু হয়েছে শ্যুটিং। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সম্প্রচার।সপ্তাহে সাতদিন ঠিক রাত আটটায় চোখ রাখুন জি বাংলার পর্দায়।
আরও পড়ুন: সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত: মহেশ ভাটকে ৩ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের, মঙ্গলে ডাক করণ জোহরকেও