সংসদের অধিবেশনে যোগ দিতে দিল্লিতে রয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তখনই তাঁর লোকসভা কেন্দ্র এলাকায় বড়সড় ভাঙন ধরল দলে। খড়গপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি শ্রমিক সংগঠনের ৫০ জন নেতাকর্মী বুধবার যোগ দিলেন তৃণমূলে। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
এদিন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মানুষের একটা অংশ গত লোকসভা ভোটে আমাদের সমর্থন করেননি। এখন তাঁরা আমাদের দলে যোগ দিচ্ছেন। বিজেপির (BJP) উপর মানুষ আস্থা হারাচ্ছেন। তাই খড়গপুরের উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে আশীর্বাদ করেছেন মানুষ। প্রদীপ সরকার ভোটে নির্বাচিত হন। যাঁরা এদিন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সজল রায়, অজয় চট্টোপাধ্যায়,রাজদিপ, শৈলেন্দ্র সিং প্রমুখ। বিজেপির বিভিন্ন পদের দ্বায়িত্ব সামলেছেন তাঁরা।”
আরও পড়ুন : KKR vs MI: শাহরুখ খানের দলকে শুভেচ্ছাবার্তা মমতার, কেকেআর-এর বর্ণময় আলোয় সাজল বুর্জ খলিফা
রাজনৈতিক মহলের মতে, খড়পুরে চার বিজেপি নেতার দলবদল ২০২১-এর নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরের কাছে বড় ধাক্কা। আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ দখলের নকসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের। সেখানেই সাংসদ তথা দলের জেলা সভাপতির ঘনিষ্ঠ একের পর এক নেতা তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ঘাসফুল শিবির বাড়তি অক্সিজেন পাবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। তৃণমূল নেত্রী বলেন, “দিলীপবাবুর দল বিজেপি আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য রাস্তায় নেমেছে। রাজ্যের অধিকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। এবিষয়ে অমিত শাহের নাক না গলানোই ভাল।” চন্দ্রিমা আরও বলেন, “বাংলার মানুষকে ওরা অপমান করেছে। আসন্ন নির্বাচনে আগের থেকে বেশি সমর্থন করবে মানুষ।”
রাজনীতির বিশ্লেষকদের দাবি, বিজেপির ভিতরে বিরাট দ্বন্দ্ব চলছে। খেয়াল করলে দেখবেন আর লকেটের খবর নেই। রূপা তো আগেই খবরের বাইরে চলে গিয়েছেন। এখন দিলীপ ঘোষ ও অগ্নিমিত্রার সময়। অটল জমানার বাংলার দাপুটে নেতা সমীক ভট্টাচার্যের কোনও অভিমত সামনে আসে না। সবটা জুড়ে কেবল দিলীপ। তাতেই নাকি অনেক দিন ধরেই দলের ভিতরে ঝামেলা চলছিল। এখন ময়দানে এসেছেন তথাগত। মুকুলকে নিয়ে একটা ঝামেলা তো আছেই। তৃণমূল ফেরত মুকুলকে ঠিক কিভাবে কাজে লাগানো যাবে বুঝে উঠতে পারছে না বিজেপি। সব মিলিয়ে হেবি চাপে বঙ্গ বিজেপি।
আরও পড়ুন : মাদকযোগ! দীপিকা,সারা,রকুল এবং শ্রদ্ধাকে সমন পাঠাল NCB আগামী তিন দিনের মধ্যে হাজির হওয়ার নির্দেশ