মেয়েদের একটা বোরো অংশ শরীরের লোম নিয়ে কুণ্ঠা বোধ করে। বিশেষ করে অনাবৃত অংশের লোম উঠিয়ে ফেলার জন্য অনেক নারী যে কোনো কিছু করতে প্রস্তুত। হাত, পায়ের লোম তো বটেই ইদানিংকালে বেশিরভাগ মেয়েই সাঁলোতে গিয়ে বিকিনি ওয়াক্সে অভ্যস্ত। উপড়ে ফেলে যৌনাঙ্গের লোমও। তবে এটা খুবই বাজে ধারণা যে ওয়াক্সিয়ের মাধ্যমে একবার সব লোম উপড়ে ফেললে আবার তা পুরু হয়ে জন্মায়।
আরও পড়ুন: ব্রা কেনা সহজ নয়! জেনে নিন, কী কী দেখে ঠিক করবেন সাইজ
এক্সপার্টরা বলছেন, গোপনাঙ্গ পরিষ্কার রাখতে অবশ্যই ওই সব লোম ছেঁটে ফেলা উচিত। এবং তা যদি এক সপ্তাহ অন্তর ছেঁটে ফেলা যায় তাহলে তা খুবই ভালো। ত্বকের জ্বালা, সংক্রমণ এসব কিছু সহজেই এড়ানো যায়। তবে শরীরের এই সব স্থান কিন্তু খুবই সংবেদনশীল। সুতরাং বিকিনি ওয়াক্স বা যৌনাঙ্গের অবাঞ্ছিত লোম উপড়ে ফেলার আগে বেশ কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে।
হেয়ার রিমুভার ক্রিম ব্যবহার করবেন না
কোনও রকম ক্রিম বা লোশনের সাহায্যে ওয়াক্স একেবারেই করবেন না। তা ত্বকের পক্ষে ক্ষতিকারক। এছাড়াও এই ক্রিম থেকে নানা রকম অ্যালার্জির সম্ভাবনা থাকে। আর গোপনাঙ্গে এই ধরনের ক্রিম একেবারেই ব্যবহার করবেন না।
ওয়াক্সিং
উপড়ে ফেলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো এবং সুরক্ষিত পদ্ধতি হল ওয়াক্সিং। ওয়াক্সিং এর ক্ষেত্রে যে তরল ব্যবহার করা হয় তা মূলত চিনি আর মধুর মিশ্রণ। এই ওয়াক্সিং যেমন ত্বকের কোনও ক্ষতি করে না তেমনই গোড়া থেকেই চুলের বিনাশ করে। এছাড়াও ত্বকের পোড়াভাব দূর হয়। ত্বক নরম থাকে। তবে ওয়াক্সিং করলে কোনওভাবেই রেজার চালানো উচিত নয়।
লেসার থেরাপি
অনেকেরই হাতে ও পায়ে লোমের গ্রোথ খুব বেশি হয়। সেক্ষেত্রে একবার লেজার পদ্ধতির সাহায্যে যদি গোড়া থেকে উপড়ে ফেলা যায় তাহলে এই সমস্যা থেকে পাকাপাকি ভাবে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে বেশ কিছু পরীক্ষা করার পর এবং ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে তবেই লেজার থেরাপি করান। সবসময় যে এই পদ্ধতি খুবই কার্যকরী হয় এমন নয়। মোটামুটি পাকাপাকি ভাবে এই পদ্ধতিতে হেয়ার রিমুভ করতে ৬টি সেশন লাগে। তবে যৌনাঙ্গের চুল কিন্তু এই পদ্ধতিতে একেবারেই তোলার চেষ্টা করবেন না।
আরও পড়ুন: যৌন মিলনের পর অবসাদে ভোগেন? এই রোগে আক্রান্ত নন তো আপনি!