নাইট কার্ফু ভাঙার অপরাধে মোটর ভেহিক্যাল আইনে জরিমানা করা হল টলিউড অভিনেত্রী ঈশা সাহাকে। সল্টলেক ৪ নম্বর গেটের কাছে নাকা চেকিং চলাকালীন এই অভিনেত্রীর গাড়ি আটকায় পুলিশ। বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁকে। কেন তিনি আইন ভেঙে রাস্তায়, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি অভিনেত্রী। এরপরই জরিমানা দিতে হয় তাঁকে।
গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য টলিপাড়ায়। নাকা চেকিংয়ের সময় সেখানে উপস্থিত ছিল একাধিক মিডিয়ার ক্যামেরা, অভিনেত্রীর ছবিও লেন্সবন্দি হয় সেখানে।কার্ফু অমান্য করে রাতে বাইরে ঘুরে বেড়ানোর কারণ পুলিশের কাছে স্পষ্ট না করলেও সংবাদমাধ্যমকে পরবর্তী সময়ে সাফাই দিয়েছেন ‘সোয়েটার’ খ্যাত এই নায়িকা। তিনি জানিয়েছেন, অনন্য দিন সময়মতো মিটিং সেরে বাড়ি ফিরে আসেন, শুক্রবার রাতে সামন্য দেরি হয়েছিল। এরপর বেলেঘাটায় নাকা চেকিংয়ে প্রায় ৪০-৪৫ মিনিট আটকে ছিল তাঁর গাড়ি, এরপর চার নম্বর গেট পার করবার সময় ফের গাড়ি আটকায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: Pori Moni: বাড়ি থেকে উদ্ধার মাদক, ব়্যাবের অভিযানে আটক পরীমনি
অভিনেত্রীর দাবি, সংবাদমাধ্যম ‘তিলকে তাল করে দেখাচ্ছে, গুজব রটেছে আমি গাড়ির কাগজপত্র দেখাতে পারিনি, কিন্তু বিষয়টা হল আমার নাইট কার্ফুতে বেরানোর অনুমতি ছিল না, এইটুকুই’। ইশার দাবি গোটা বিষয়টা ‘অতিরঞ্জিত’ করে দেখানো হচ্ছে। নাকা চেকিংয়ে গাড়ি আটকানোর পর পুলিশের গাড়িতে থানায় যান ইশা, সেখান থেকে চালান কেটে জরিমানা নেওয়া হয় অভিনেত্রীর থেকে। এক ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমকে ইশা জানান, থানার বাইরে এক ব্যক্তি তাঁর গাড়ির চালককে বলপূর্বক গাড়ির ভিতর থেকে টেনেহিঁচড়ে নামানোর চেষ্টা করেন। যা দেখে আতঙ্কিত অভিনেত্রী। তাঁর প্রশ্ন, ‘আমি কি খুন করেছি? নাকি মদ খেয়ে গাড়ি চালিয়েছি?’
সামন্য বিষয়কে বড়ো করে দেখানো হচ্ছে দাবি ইশার, তিনি জানান আমার মতো অনেকের গাড়িই তো আটকানো হয়েছিল। সব ঝামেলা মিটিয়ে রাত সাড়ে বারোটার পর বাড়ি ফেরেন ইশা। আক্ষেপের সুরে ইশা জানালেন, ‘কই মিডিয়া তো একবার দেখানো না বেলেঘাটার কাছে ৪৫ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট হওয়ার কথাটা!’
করোনার বিধি নিষেধ এখনও বলবৎ রয়েছে রাজ্যে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হলেও বার বার প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, নাইট কার্ফু মানতেই হবে। কোনও ভাবে তা উপেক্ষা করলে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। কিন্তু সে নিয়মের তোয়াক্কা কোথায়? প্রতিদিন নাইট কার্ফু ভেঙে সারি সারি গাড়ি চলছে রাস্তায়। পুলিশও পাল্লা দিয়ে বাড়িয়েছে নজরদারি। নিয়মিত নাকা চেকিং করা হচ্ছে রাত ৯টার পর থেকে। আটক কিংবা জরিমানাও হচ্ছে। তার পরও নিয়মিত এ ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে।
আরও পড়ুন: পিটিশন খারিজ করল বম্বে হাইকোর্ট, আপাতত জেলেই থাকছেন Raj Kundra-র