সদ্য ‘মথুরামোহন বিশ্বাস’-এর খোলস ছেড়েছেন। দিন কয়েক যেতে না যেতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পাগড়ি, চোগা-চাপকান গায়ে চাপালেন গৌরব চট্টোপাধ্যায়। স্টার জলসার ইনস্টাগ্রাম পাতায় ভাগ করে নেওয়া প্রচার ঝলক বলছে, ধারাবাহিক ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’-এ তিনি বিশ্বকবি। স্টার জলসার তরফে ইনস্টাগ্রামে শেয়ার হওয়া প্রোমো বলছে আজ বুধবার দেখানো হবে এই পর্ব। ‘চারণ কবি’ মুকুন্দদাসকে নিয়ে তিনি হাজির সাধক বামদেবের আশ্রমে, একটু শান্তির খোঁজে। মুকুন্দদাসের ভূমিকায় অভিনয় করছেন ছোট পর্দার চেনা মুখ অরিত্র দত্ত।
এক বাংলা সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পরিচালক শুভেন্দু চক্রবর্তী জানান, ইংরেজ পরাধীন ভারতে শান্তির খোঁজে অস্থির রবিঠাকুর এসেছিলেন তারাপীঠে, চারণ কবিকে সঙ্গে নিয়ে। আর সেটাই দেখানো হবে বর্তমানে। পরিচালকের আরও জানিয়েছেন, ইতিহাস অনুসারে রবি ছোটবেলায় তাঁর বাবা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গেও গিয়েছিলেন তারাপীঠে। সেই সময় বামদেব দেবেন্দ্রনাথের মাথায় হাত রেখে বলেছিলেন, বোলপুরে ছাতিম গাছের নীচে শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠিত হবে। যার খ্যাতি হবে গোটা বিশ্বে। সে কথা বড় হয়েও মনে আছে রবীন্দ্রনাথের। তাই অশান্ত মন নিয়ে ছুটে এসেছেন আশীর্বাদের জন্য।
সোমবার থেকে ধারাবাহিকের নিয়মিত শ্যুটে যোগ দিয়েছেন গৌরব। পূর্বপরিচিত হলেও শুভেন্দু গৌরবকে প্রথম পরিচালনা করছেন। কাজ করতে গিয়ে কে সামনে এসে দাঁড়াচ্ছেন? উত্তমকুমারের নাতি, না অভিনেতা গৌরব চট্টোপাধ্যায়? পরিচালকের ঝটিতি উত্তর, আপাতত ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’ ছাড়া তাঁর সামনে আর কেউ নেই। ধারাবাহিকে গৌরবের অধ্যায় কত দিন দেখা যাবে? পরিচালকের দাবি, ‘‘এই চরিত্রের অবস্থান নাতিদীর্ঘ। খুব বেশি দিন দেখা না গেলেও একেবারে অল্প সময়ের জন্যও ধারাবাহিকে আসছেন না গৌরব।’’ ‘মথুরবাবু’কে নিয়ে উচ্ছ্বসিত ‘বামা’ সব্যসাচীও। বললেন, ‘‘যথেষ্ট জনপ্রিয় অভিনেতা। অভিজ্ঞতাও আমার থেকে অনেক বেশি। ভীষণ ভালমানুষ। গৌরবের সঙ্গে কাজ করে আনন্দ পাচ্ছি।’’
জানালেন, ‘অভিজ্ঞতা আমার থেকে অনেক বেশি। আর ভীষণ ভালোমানুষ। গৌরবের সঙ্গে কাজ করে আনন্দ পাচ্ছি।’ তবে, খুব বেশিদিন দেখা যাবে না গৌরবকে। বড়জোর সপ্তাহখানেক।