রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শ্যালিকা ইরা বসুর পেনশন ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। গতকালই এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নবান্ন। প্রাপ্য গ্র্যাচুইটিও পাবেন ইরাদেবী। এই খবরে ভট্টাচার্য পরিবার ‘খুশি’ হলেও ইরা দেবীর সাম্প্রতিক আচরণে বেজায় চটে রয়েছেন তাঁরা। আজ বুদ্ধ কন্যা সুচেতনা ভট্টাচার্যের বিবৃতিতে সেই কথা স্পষ্ট।
বুদ্ধদেবের শ্যালিকা ইরা বসু তাঁর পেনশনের টাকার নমিনি করেছেন বোনঝি সুচেতনা ভট্টাচার্যকে। কিন্তু বুদ্ধ কন্যা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইরা বসুর পেনশনের নমিনি হতে নারাজ তিনি। আজ এক বিবৃতিতে সুচেতনা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন,’বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে আমি অবহিত হলাম যে অর্থ দফতর ইরা বসুর পেনশন চালু করেছে (সুখের খবর) এবং এও জানতে পারলাম যে আমাকে উনি তাঁর নমিনি করেছেন। আমি এই মর্মে দৃঢ়ভাবে জানাতে চাই যে ইরা বসুর স্থাবর ও অস্থাবর কোন সম্পত্তি আমি কোনভাবে কোনদিনই গ্রহণ করব না।’
সেই সঙ্গে লিখিত বিবৃতিতে সুচেতনার মন্তব্য, ‘ইরা বসুর বর্তমান ব্যবহারে আমার বাবা-মা এবং আমি অত্যন্ত বিরক্ত হচ্ছি। আশা করব উনি সুস্থ নীরোগ জীবনযাপন করবেন এবং অনুরোধ করব উনি যেন ভবিষ্যতে ওনার কোনও কার্যকলাপে আমাদের নাম অন্তর্ভুক্ত না করেন।’
আরও পড়ুন: রাজ্যসভাপতি পদ থেকে অপসারিত দিলীপ,খোঁচা দিতে ছাড়লেন না সদ্য পদ্ম-ত্যাগী বাবুল
চলতি মাসের শুরুর দিকেই বরাহনগরের ফুটপাথ থেকে অবিন্যস্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ইরা বসুকে। এর পরই সংবাদ মাধ্য়ম সূত্র মারফৎ জানতে পারা যায়, তিনি আর কেউ নন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শ্যালিকা। তাঁর ভবঘুরে দশা দেশে হতবাক হন নেটিজেনরা। জানাজানি হওয়ার পরও ইরাদেবীকে লুম্বিনি পার্ক মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি সেখানে থাকতে রাজি হননি। কারোর থেকে কোনও সাহায্যও নিতে চাননি। অগত্যা খড়দহের বাড়িতে তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয়।
জানা যায়, খড়দহের একটি হাইস্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন ইরা বসু। অবসর নেন ২০০৯ সালে। মঙ্গলবার নবান্নের অর্থ দফতরের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পেনশন চালুর নির্দেশিকায় নমিনি করা হয়েছে বুদ্ধবাবুর মেয়ে সুচেতনা ভট্টাচার্যকে। এই নির্দেশিকায় দেখা যাচ্ছে, আপাতত প্রতি মাসে ১৩ হাজার ৯৮৫ টাকা পেনশন পাবেন ইরা বসু। নবান্ন সূত্রে খবর, ২০০৯ সালের ১ মে থেকে এই নির্দেশিকা কার্যকর করা হয়েছে। অর্থাৎ গত ১১ বছরের বকেয়া পেনশনও একেবারে পাবেন ইরাদেবী।
আরও পড়ুন: অভিষেকের সঙ্গে গোপন আতাঁত? এবার লকেটকে নিয়ে জরুরি বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব