ঝাড়গ্রামে অবশেষে খোঁজ মিলল চিতাবাঘের। ঝাড়গ্রামের মিনি চিড়িয়াখানার (Jhargram Deer Park) পূর্ণবয়স্ক চিতাটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল। যে খাঁচায় থাকত, সেখান থেকেই পালিয়ে যায় সে। এ খবর সামনে আসতেই কার্যত আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হয়ে যায় ঝাড়গ্রামবাসীর। অবশেষে খোঁজ মিলল তার। কোথাও যায়নি বাঘ বাবাজী। ঘাপটি মেরে চিড়িয়াখানা চত্বরেই বসে ছিল সে।
বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা মিনি জু থেকে চিতাবাঘ পালিয়ে যাওয়ার খবর জানাজানি হতেই তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হতেই শহরের রাস্তাঘাট শুনশান হয়ে যায়। স্থানীয় দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। তবে কীভাবে চিতাবাঘটি পালাল, তা নিয়ে মুখ খোলেননি এঁটেছেন বনদপ্তরের আধিকারিকরা। বনদপ্তরের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, চারটি বাঘের মধ্যে একটিমাত্র স্ত্রী চিতাবাঘ রয়েছে, তার নাম হর্ষিণী। সেই বাঘটিই পালিয়েছিল। রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) দেবল রায় বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, ‘‘চিতাবাঘটির খাঁচার জালে মেরামতির কাজ চলছিল। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, মেরামতিতে ত্রুটির কারণে কিছুটা ফাঁক থেকে গিয়েছিল। সেখান থেকেই চিতাবাঘটি পালিয়ে যায়।’’
নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই চিতাবাঘটির খোঁজ শুরু করেন বন দপ্তরের আধিকারিকরা। কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সজাগ ছিল স্থানীয় প্রশাসনও। সকাল হতেই গতি বাড়ে তল্লাশির। তারপর বনকর্মীরা চিড়িয়াখানার ভিতরে জঙ্গলের মধ্যেই খোঁজ পান চিতাবাঘটির। তারপর চিতাবাঘটিকে আটক করা হয়েছে। চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করা নিয়ে বনপ্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেছেন, ‘‘চিড়িয়াখানার ভিতরেই চিতাবাঘটিকে দেখতে পাওয়া গিয়েছে। খাঁচাবন্দি করার চেষ্টা চলছে।’’
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, খোঁজ পাওয়ার পর গুলি করে ঘুম পাড়ানো হয় চিতাবাঘটিকে। তার পর তাকে খাঁচাবন্দি করা হয়েছে। চিতাবাঘের খোঁজ পাওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন ঝাড়গ্রামবাসীও। ঘটনা নিয়ে ডিএফও শেখ ফরিদ বলেছেন, ‘‘হর্ষিনিকে উদ্ধার করা হয়েছে বৃহস্পতিবার দুপুর দু’টো নাগাদ। চিড়িয়াখানার মধ্যেই ছিল। এখন তার চিকিৎসা চলছে।’’