বাংলার রাজনীতির সবচেয়ে কালারফুল ব্যক্তিত্ব মদন মিত্র। তিনি যখন কোনও অনুষ্ঠানে যান তখন চারিদিকে সুন্দরী নায়িকাদের ভিড়। কিন্তু কখনও মদন মিত্র পাশে পাওয়া যায়নি তাঁর স্ত্রী অর্চনা মিত্রকে। লাইমলাইট থেকে দূরে থাকা অর্চনাদেবীকে ক্যামেরার সামনে দাঁড় করালেন রচনা। জি বাংলার এই সঞ্চালিকার হিট গেম শো ‘দিদি নম্বর ১’-এর মঞ্চে দেখা মিলল সস্ত্রীক মদন মিত্রর। যা দেখে সকলেই বলছেন ‘ওহ লাভলি’।
রিয়্যালিটি শো-তে এই প্রথম সস্ত্রীক দেখা গেল কামারহাটির বিধায়ককে। মঙ্গলবার লাইভ সম্প্রচারে এসে সে কথা স্বীকারও করেছেন তিনি? জানিয়েছেন, রচনার সৌজন্যে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী এক মঞ্চে, এক অনুষ্ঠানে। সে দিক থেকেও ইতিহাস গড়ল রিয়্যালিটি শো-এর মঞ্চ। একই সঙ্গে মিষ্টি অনুযোগ, ‘‘অপেক্ষায় ছিলাম, কবে রচনার শো-তে ডাক পাব! অভিমানও হত, রাজনীতি করি বলেই কি আমাদের ডাকেন না রচনা? আজ আর আমার কোনও অভিমান নেই!’’
স্বামীর মতোই সুরসিকা মদন-পত্নীও। তাঁকে রচনার প্রশ্ন, ‘‘দাদার চারপাশে এত সুন্দরীদের ভিড়। আপনি কখনও থাকেন না। ভয় হয় না?’’ উত্তরে অর্চনার টানটান জবাব, ‘‘ঘুড়ি যতই উড়ুক, লাটাই তো আমার হাতে!’’ সঙ্গে সঙ্গে বিধায়কের ঠোঁটে বিখ্যাত সংলাপ, ‘‘ওহ! লাভলি…।’’
রচনার জন্যই যে স্ত্রীকে নিয়ে কোনও অনুষ্ঠানে আসা স্বীকার করে নিতে দ্বিধাবোধ করলেন না মদন মিত্র। এদিন কালো-সোনালি জমকালো পঞ্জাবি আর কালো জহোর কোটে ঝলমল করলেন মদন মিত্র, পাশে সবুজ-লাল ভারী সিল্কের শাড়িতে ধরা দিলেন মদনপত্নী। এদিন রচনার উদ্দেশে অনুযোগের সুরেই বিধায়ক বলেন, ‘অপেক্ষায় ছিলাম, কবে রচনার শো-তে ডাক পাব! অভিমানও হত, রাজনীতি করি বলেই কি আমাদের ডাকেন না রচনা? আজ আর আমার কোনও অভিমান নেই!’
তবে শুধু মদনমিত্র নয়, এই এপিসোডে থাকবে একগুচ্ছ চমক। মদন মিত্রর পাশাপাশি এই বিশেষ পর্বে দেখা যাবে তৃণমূলে কিছুদিন আগেই যোগ দেওয়া বাবুল সুপ্রিয়কেও। স্ত্রী রচনা শর্মাকে নিয়ে মঞ্চে হাজির হয়েছেন তিনি। এদিন তো আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বলেই ফেললেন, রচনার গুণমুগ্ধ ভক্ত হওয়াতেই নাকি রচনা নামের মেয়েকে বিয়ে করেছেন তিনি। এই দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পাশাপাশি আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন সস্ত্রীক শিবাজি চট্টোপাধ্যায় এবং রাঘব চট্টোপাধ্যায়, উপস্থিত ছিলেন নচিকেতাও।
আরও পড়ুন: ভিকিকে ছাপিয়ে ক্যাটরিনাকে দামী উপহার ‘প্রাক্তন’ রণবীর-সলমনের! আর কে কি দিল জানুন…