ব্রডাকাস্টিং অডিয়েন্স রিসার্ট কাউন্সিলের প্রাক্তন সর্বময় কর্তা পার্থ দাশগুপ্ত বোমা ফাটালেন রিপাবলিক টিভির এডিটর ইন চিফ অর্ণব গোস্বামীর বিরুদ্ধে। মু্ম্বই পুলিশকে দেওয়া হাতে লেখা বয়ানে অর্ণব গোস্বামীর কাছে টিআরপিতে রদবদল করার জন্য ঘুস নেওয়ার কথা মেনে নিয়েছেন BARC-এর প্রাক্তন চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (CEO)।
গত ২৭ ডিসেম্বর এবং ২৯ ডিসেম্বর মুম্বই পুলিশকে দেওয়া বয়ানে জানিয়েছেন, ২০০৪ সাল থেকে অর্ণব গোস্বামীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় রয়েছে। সূত্রের খবর, তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন অর্ণবের কথামতোই টিআরপি রেটিংয়ে হেরফের করে রিপাবলিক টিভিকে এক নম্বর জায়গা করে দেন। পার্থ দাশগুপ্ত জানান, এই কাজের বদলে অর্ণব তাঁকে নগদ টাকা এবং সোনা ও রুপোর গহনা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মমতা কী সরকারি অনুষ্ঠানে ইসলামী প্রার্থনা করেছিলেন? জেনে নিন আসল সত্য
২৭ শে ডিসেম্বর মুম্বই পুলিশকে ইংরাজিতে দেওয়া বয়ানে পার্থ দাশগুপ্ত জানান, ‘আমি আমার গোটা টিমের সঙ্গে একযোগে টিআরপি রেটিংয়ে হেরফের করে রিপাবলিক টিভিকে ১ নম্বর জায়গা করে দিতাম। এটা একটানা ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত জারি ছিল।
অর্ণব এই মর্মে ২০১৭ সালে সেন্ট রেগিজ হোটেলে (লোয়ার পারেল,মুম্বই) আমার সঙ্গে দেখা করে।এবং আমাকে ছয় হাজার মার্কিন ডলার ($6,000) দেয়, আমার ফ্রান্স ও সুইত্জারল্যান্ড ট্যুরের জন্য। দুবছর পর একই জায়গায় পরিবারের সঙ্গে আমার সুইডেন ও ডেনমার্ক ট্যুরের জন্য ফের ছয় হাজার মার্কিন ডলার ($6,000) দেয়।
দেশবাসীর মনে থাকার কথা, কিভাবে প্রধানমন্ত্রী অর্ণবের কাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন। দিনের পর দিন নিজের চ্যানেলে বসে বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন অর্ণব। টাকা দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত পাক সেনা আধিকারিকদের দিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করিয়েছেন। ভারতকে গালি দেওয়া ওই লোকের দুবাইয়ের একাউন্টে টাকা পাঠিয়েছেন। তাঁর অসুস্থ সংবাদিকতা থেকে ফায়দা তোলার চেষ্টা করেছে বিজেপি।
তবে তাঁর WhatsApp টেপ বাইরে আসার পর বিজেপির নেতারা অর্ণবের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছেন। এ বিষয়ে কেউ একটি কথাও বলছে না। বালাকোট হামলার খবর কিভাবে অর্ণব আগাম পেলেন, সে প্রশ্ন আগেই উঠেছে। আরও নাজানি কি কি প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে তা নিয়ে কপালে ভাঁজ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের।
তবে মিডিয়া মারফত বিজেপি কিছু জিনিসের প্রচার চালায়। বিজেপির এই সব প্রচারের ‘এক্সপায়ারি টাইম’ থাকে। যেমন ‘আচ্ছে দিন’ ‘এক্সপায়ার’ করে গিয়েছে। তা নিয়ে ভুল করে স্বয়ং মোদীও কোনও কথা উচ্চারণ করেন না। ‘নোটবন্দি’ যেন ঘটেইনি। বুলেট ট্রেনের কথা আর কোনও সভায় উচ্চারণ করেন না মোদী। বাংলায় নির্বাচনের আগে এনআরসি, সিএএ নিয়ে কোনও কথা বলছেন না বিজেপির নেতারা। আগেও তাদের ভরসা ছিল রাম নাম। এখনও তাদের ভরসা রাম নাম। কেউ কেউ মজা করে বলছেন, এবার তাদের রাম নাম সত্য হবে।
আরও পড়ুন: Republic Day 2021 Wishes: প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রিয়জনদের পাঠান শুভেচ্ছাবার্তা