হাওড়া: টিকিয়া পাড়ার কেসটা ঠিক কি হল? প্রশ্ন ছিল অনেকেরই। সোমবার তা স্পষ্ট করে দিল পুলিশই।হাওড়া সিটি পুলিশের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, ‘টিকিয়াপাড়া কাণ্ডে মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছেন সেই ব্যক্তি, যিনি লাফিয়ে এসে পুলিশ অফিসারকে আঘাত করেন। যিনি ওই ঘটনার মূল কাণ্ডারি এবং যিনি ঘটনা ঘটার আগে অন্যান্যদের উসকানি দিচ্ছিলেন, তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি হাওড়া জেলা বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের নেতার ছোট ভাই!’
আরও পড়ুন: Lockdown 3.0: দেখে নিন, নয়া তালিকা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের কোন জোনে কী করা যাবে ও যাবে না
স্বাভাবিক কারণেই হাওড়া পুলিশের এই ভিডিয়ো প্রকাশের পরই চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি। তাঁদের তরফে প্রণয় রায় একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘সারা বাংলাজুড়ে এই অবস্থা চলছে। পুলিশকে প্রহৃত হতে হচ্ছে। মানুষ রেশন পাচ্ছে না, অথচ হাওড়ার মূল অভিযুক্তের বাড়িতে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে পুলিশ।’ যদিও বিজেপি নেতার ছোট ভাইয়ের যুক্ত থাকার বিষয়টি সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হামলার ষড়যন্ত্র এবং তাতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার মতো গুরুতর ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গোটা এলাকায় চলছে পুলিশি টহলদারি। তদন্ত সাপেক্ষে গ্রেফতারির সংখ্যা বাড়তে পারে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
মঙ্গলবারের ওই ঘটনা নিয়ে ইতোমধ্যে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছিল। সেই প্রসঙ্গেই গত বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন অন্যায়কারীর ধর্মীয় পরিচয় দেখবেন না। বিজেপির উদ্দেশেও তিনি বলেছিলেন ‘শকুনের মতো বসে রয়েছে, কখন কেউ মরবে আর এরা ঠুকরে খাবে। পুলিশ নিজের কাজ করছে। তারা কড়া ব্যবস্থা নেবে। দোষীরা কেউ ছাড় পাবে না। কিন্তু এসব নিয়ে রাজনীতি করা বন্ধ করুন।’ সেইসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের প্রসঙ্গ তুলেও তাঁর কটাক্ষ, ‘ওখানেও তো পুলিশকে মারছে, কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে?’ এরই মধ্যে টিকিয়াপাড়া কাণ্ডে বিজেপির নাম জড়ানোয় বিড়ম্বনায় গেরুয়া শিবির।
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! শৌচালয়ে ‘কোয়ারেন্টাইনে’ আদিবাসী পরিবার, সিন্ধিয়াকে তোপ কংগ্রেসের