Kamala bhog aka Kamalabhog Recipe step by step

Durga Puja Recipe: বিজয়াদশমীতে বাড়িতেই তৈরি করুন নরম-তুলতুলে কমলাভোগ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

আজ বিজয়াদশমী। উমাকে বিদায় জানানোর পালা। কিন্তু এই বিজয়াদশমী মোটেই দুঃখের নয়। বরং মিষ্টি মুখেই এই দিনটিকে পালন করার রীতি। এই উত্‍সবের দিনগুলিতে মিষ্টির কোনও কমতি থাকে না। বিদায়ের সময় উমাকে যেমন মিষ্টি দিয়ে বরণ করা হয়, তেমনি শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময়ও একে অপরকে মিষ্টি মুখ করানো হয়। তাই বিজয়াদশমীতে মিষ্টির কদর ও চাহিদা তুঙ্গে। আর বাঙালি যখন তখন মিষ্টি খাওয়ার অভ্যেস রয়েছে। মিষ্টি ছাড়া বাঙালি খাবার খাওয়া সম্পূর্ণ হয় না। তাই বিয়ে ও শুভ অনুষ্ঠান, বাড়িতে অতিথি এলে বা খুশির কোনও মুহূর্তে মিষ্টি মুখ করা চাই-ই চাই। তবে বাঙালির উত্‍সবে কোনও কাজুবরফি না জিলিপি নয়, বাঙালি মিষ্টিতেই জমে ওঠে উত্‍সব।

দশমীর দিন বাড়িতেই তৈরি করুন নরম তুলতুলে ও অসাধারণ স্বাদের বাঙালি মিষ্টি কমলাভোগ। খুব সহজ উপায়ে কমলাভোগ বানাতে কী কী লাগবে, কীভাবে তৈরি করবেন তা জেনে নিন এখানে…

উপকরণ:

(মিষ্টির জন্য): দুধ (স্কিম মিল্ক বা ফ্যাট ফ্রি হলে ভালো হয়) ২ লিটার,

কমলার রস ২ কাপ, সিরকার ও পানির মিশ্রণ ১ কাপ (প্রয়োজন হলে)

জাফরান প্রয়োজন অনুযায়ী

বেকিং পাউডার আধা টেবিল চামচ

আইসিং সুগার ২ টেবিল চামচ

সুজি ১ টেবিল চামচ

অরেঞ্জ এসেন্স ২ ফোঁটা (না দিলেও চলবে)

জাফরানি রং সোয়া চা-চামচ

লবঙ্গ (প্রতিটি মিষ্টির জন্য) ১টি করে

(শিরার জন্য): চিনি ৩ কাপ, জল ৫ কাপ, এলাচ গুঁড়া ১ চা-চামচ।

প্রণালি:

৪ কাপ জলের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে জ্বাল দিন। ঘন হয়ে এলে আরও ১ কাপ জল দিয়ে জ্বাল দিন। শিরার ঘনত্ব বুঝে গ্যাস ওভেন বন্ধ করে দিন। একটি প্যান বা হাঁড়িতে দুধ জ্বাল দিন। কয়েকবার ফুটে উঠলে চুলা বন্ধ করে দিন। দুধের হাঁড়ি আর নাড়াবেন না। পুরু সর পড়লে তা সাবধানে দুধ থেকে উঠিয়ে ফেলুন।

পুনরায় মাঝারি আঁচে দুধ জ্বাল দিন। একবার ফুটে উঠলে ওভেন বন্ধ করে অল্প অল্প করে কমলার রস দিন। দুধে দই বা ছানা ভাব এলে বুঝবেন সিরার মিশ্রণ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু ছানা দুধ থেকে আলাদা না হলে সিরা দিতে হবে এবং দুধ ও ছানার জল আলাদা হয়ে গেলে ঝাঝরিতে ছেঁকে নিতে হবে।

সুতি বা মসলিন কাপড়ে ছানা নিয়ে গিঁট মেরে ঝুলিয়ে রেখে জল ঝরিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন ছানা যেন বেশি শক্ত হয়ে না যায়। এবারে একটি ট্রেতে ছানা নিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট মথে মসৃণ করে নিন। ছানার মধ্যে একটা ভেজা ভেজা ভাব থাকবে। আরও মসৃণ করতে চাইলে একটু ব্লেন্ড করে নিতে পারেন।

তারপর এটি ১০-১৫ মিনিট ঢেকে রেখে দিন। অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব মনে হলে দুই-এক চা-চামচ ময়দা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই ডো থেকে ছোট ছোট গোলা তৈরি করুন। গোল আকৃতির মিষ্টি তৈরি করে তার মাঝখানে আঙুল চেপে একটু ছোট গর্তের মত তৈরি করুন। প্রতিটি মিষ্টির গর্তে একটি করে লবঙ্গ গেঁথে দিন।

কয়েকটি পেস্তা কুচি লবঙ্গের চারপাশে দিয়ে ফুলের মতো তৈরি করুন। মিষ্টির চারপাশে একটু একটু করে জাফরানের রেণু ছিটিয়ে দিন। সাবধানে সাজাতে হবে যেন ফেটে না যায়। এবার কিচেন টাওয়েল দিয়ে কয়েক মিনিট ঢেকে রাখুন। চিনির শিরায় এলাচ গুঁড়ো দিয়ে অল্প কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে এই শিরাতে একটি একটি করে কমলাভোগ ছেড়ে দিন।

কড়াই বা হাঁড়ি আলতোভাবে এ পাশে ওপাশে ঘুরিয়ে ভারি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। কিছুক্ষণ পর ঢাকনা খুলে কড়া আঁচে ১০ মিনিট জ্বাল দিন। আরও ৫-১০ মিনিট জ্বাল দিয়ে চুলা বন্ধ করে ৩০ মিনিট ঢেকে রাখুন। এবার ঢাকনা খুলে ঠান্ডা হতে দিন। সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest