প্রশিক্ষণ ছাড়াই প্লেন ওড়াল তিতলি! তুমুল ট্রোলড সিরিয়ালের প্রোমো

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

সিরিয়াল, সিনেমা বা হালের ওটিটি প্ল্যাটফর্মের ওয়েব সিরিজ৷ অনেক ক্ষেত্রেই গল্পের গরু গাছে ওঠে৷ কল্প কাহিনি হিসেবে ধরে নিয়ে এবং নিছক বিনোদনের স্বার্থে সেসব মেনেও নেন দর্শক৷ কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে এতটাই অবাস্তব এবং অভাবনীয় চিত্রনাট্য রচনা করেন নির্মাতারা, যা দেখে দর্শকের চোখ কপালে ওঠে, ক্ষোভও উগরে দেন তারা৷ সেই তালিকায় এবার সর্বশেষ সংযোজন জনপ্রিয় বাংলা মেগা ধারাবাহিক ‘তিতলি’-র একটি প্রোমো৷

চলতি বছরের 13 ই জুলাই স্টার জলসায় শুরু হয় ‘তিতলি’ ধারাবাহিকটি। এই ধারাবাহিকে তিতলির চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী মধুপ্রিয়া চৌধুরী। মধুপ্রিয়া অভিনীত চরিত্র তিতলির স্বপ্ন পাইলট হওয়ার। কিন্তু সে বধির অর্থাৎ শ্রবণশক্তিহীন। কিন্তু বধির হওয়া সত্ত্বেও তিতলি কিভাবে জীবনের অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যায়, তা নিয়েই তৈরী হয়েছে এই সিরিয়ালের গল্প। কিন্তু এত সংবেদনশীল একটি বিষয়ে তৈরী সিরিয়ালের চিত্রনাট্যের এই হাল নিয়ে এই মুহূর্তে দর্শকরা যথেষ্ট শঙ্কিত।

আরও পড়ুন: পোষ্যের গলার বেল্ট দিয়ে আত্মঘাতী অভিনেতা আসিফ বসরা, ধর্মশালার এক আবাসন থেকে উদ্ধার দেহ

কী দেখিয়েছে প্রোমো? পাইলট হতে না পারার ব্যর্থতা বুকে চেপে পরিবার এবং স্বামীকে নিয়ে বিমানযাত্রী সে। তার মন খারাপ দেখে সানির আশ্বাস, “হেরে যেও না। ঠিক সুযোগ পাবে নিজেকে প্রমাণ করার।” সানির ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি করতে পলক ফেলার আগেই পাইলট হৃদরোগে আক্রান্ত। সহকারি পাইলটও ব্যর্থ প্লেন চালাতে। প্লেন ক্রাশের আগের মুহূর্তে তিতলি পাইলটের চেয়ারে। সানিকে নির্দেশ দিল, কন্ট্রোল রুমের নির্দেশ তাকে জানাতে। তার পরেই টপাটপ বাটন টিপে সে বাঁচিয়ে দিল এক প্লেন যাত্রীর প্রাণ! বিনা প্রশিক্ষণেই। কেউ একবার বাধাও দিল না তাকে! আর এই প্রশিক্ষণ ছাড়াই প্লেন ওড়ানোর স্বপ্ন সফল করতে চলেছে ১৬ থেকে ২০ নভেম্বর সন্ধে সাড়ে ছ’টায় পাঁচ দিনের মহা পর্বে।

ধারাবাহিকের এই প্রোমো দেখে বহু দিন পরে মন খুলে হেসেছেন নেটাগরিকেরা। সঙ্গে হুল বেঁধানো মন্তব্য, ‘উফফ…পাইলট দূর্বা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখলে লজ্জা পাবেন!’ কেউ বলেছেন, ‘যা দেখছি, তিতলি ট্রাম্পকেও জিতিয়ে আনতে পারবে। এ তো বিবেকামুন্ডন-এর মা রে পাগলা!’

কেউ প্রচণ্ড ভর্ৎসনা করেছেন চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে। গল্পের গরু এ ভাবে গাছে তুলে দেওয়ার জন্য, ‘নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি না, এত সুন্দর অসাধারণ স্ক্রিপ্ট বাংলা সিরিয়ালে হচ্ছে। অস্কার নেহাৎ সিরিয়াল করে পাওয়া যায় না, নইলে এই দৃশ্যের জন্য খালি ১০৮টা অস্কার পাওনা হয়ে যেত। আর এইটা দেখে যাঁরা লাভ রিয়্যাক্ট করেছে তাঁদের নোবেল দেওয়া যেত। তাঁদের নোবেল এমনিও দেওয়া উচিৎ!!!!!!!’

কিছুদিন আগে অন্য একটি জনপ্রিয় বাংলা ধারাবাহিক ‘কৃষ্ণকলি’-র একটি দৃশ্যও একই ভাবে ট্রোলড হয়েছিল৷ সেখানে একটি দৃশ্যে চিকিৎসকের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সস্তার স্ক্রাব প্যাড৷ আর তা দিয়েই তিনি মরণাপন্ন এক রোগীকে বাঁচিয়ে তোলেন৷ তবে শুধু বাংলা নয়, েবশ কিছু হিন্দি ধারাবাহিকও একই দোষে দুষ্ট৷ দর্শকদের একটাই প্রশ্ন, হলই বা সিরিয়াল, বাস্তবের সঙ্গে কিছুটাও হলেও মিল রেখে চিত্রনাট্য তৈরি করলে ক্ষতি কী?

আরও পড়ুন: বড়দিনে আসছে ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’, প্রকাশ্যে সৃজিত-প্রসেনজিৎ জুটির ৮ নম্বর ছবির পোস্টার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest