লকডাউনের জেরে দোকানে মিলছে না ওষুধ, হোম ডেলিভারির অনুমোদন দিল কেন্দ্র

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি: লকডাউনের জেরে তৈরি হওয়া ভীতি, পরিবহণের অপ্রতুলতা এবং কার্ফুতে চলাচলের উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে রাজ্যের ওষুধ বিপণিগুলিতে ক্রমেই কমছে মজুত থাকা চিকিৎসা সংক্রান্ত পণ্য। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, গুদামে টান না পড়লে সরবরাহ ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দেওয়াতেই দোকানে সময়মতো ওষুধ পৌঁছানো যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন: করোনা রুখতে লকডাউন যথেষ্ট নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কথায় বাড়ছে আতঙ্ক

লক ডাউন শুরু হতেই শুরু হয়েছে ওষুধের সংকট। পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, হুগলির বেশির ভাগ এলাকাতেই প্রয়োজনের অনেক ওষুধ মিলছে না বলে অভিযোগ। অনেক জায়গা থেকেই উধাও সাধারণ জ্বর সর্দি-কাশির ওষুধও। জীবনদায়ী ওষুধ না পেয়ে হন্যে হয়ে ঘুরছেন অনেকে। আবার প্রেসক্রিপশন হাতে নিয়ে ওষুধ খুঁজতে বেরিয়ে রাস্তায় পুলিশের নানান প্রশ্নেরও সামনে পড়তে হচ্ছে অনেককেই। ওষুধ ছাড়া কিভাবে দিন চলবে তা বুঝে উঠতে পারছেন না অনেকেই। অনেক রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন। ওষুধ না মেলায় দুশ্চিন্তায় তাদের পরিবারের সদস্যরা।

আরও পড়ুন: বাজারে দেদার বিকোচ্ছে ‘করোনা বার্গার’! টেস্ট করে দেখবেন নাকি?

ডিস্ট্রিবিউটদের থেকে ওষুধ না পাওয়ার অভিযোগ করছেন ওষুধের দোকানীরা। তাঁদের অভিযোগ, অর্ডার দিলেও ওষুধ দোকানে এসে পৌঁছচ্ছে না।কেমিস্টদের দাবি, তাঁদের কাছেই প্রয়োজনীয় ওষুধ আসছে না। ফলে, জোগান দিতে পারছেন না তাঁরা। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই কেমিস্টদের সংগঠন ফার্মাসিউটিক্যাল বিভাগ এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

দেশে ৩০০/ ৪০০ ওষুধের ওয়্যারহাউজ রয়েছে। প্রায় সবই মূল শহরের বাইরে অবস্থিত। সেগুলো একেকটির পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন ১০০/ ১৫০ কর্মী। তারা সকলে কাজের জাগায় পৌছতে পারছেন না সময়মত। পাশাপাশি, দেশের ৮,৫০,০০ দোকানেও কর্মীরা ঠিকমত পৌছতে পারছেন না। ফলে নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

অবস্থা ভালো নয় দেখে গ্রাহকের বাড়িতে ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার অনুমতি দিল কেন্দ্র। এ দিনই আবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ঘরবন্দি মানুষের চিকিৎসার প্রয়োজনে লকডাউনের মাঝেও তাঁদের দোরগোড়ায় ওষুধ সরবরাহ করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে ওষুধ ও মেডিক্যাল সরঞ্জাম বিপণন সংস্থার কর্মীদের। সরকারের তরফে জানা হয়েছে, এ দিনই এই সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা গেজেটিয়ার অফ ইন্ডিয়া-তে প্রকাশিত হবে।

আরও পড়ুন: করোনার সঙ্গে যুঝতে ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটির ত্রাণ ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর, আমজনতাকে বাঁচাতে ৮ পদক্ষেপ

Gmail 7

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest