জ্বালানির দামে রেকর্ড, আজ কলকাতায় পেট্রোলের দাম সেঞ্চুরি ছুঁইছুঁই, পিছিয়ে নেই ডিজেলও

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ফের বাড়ল জ্বালানির দাম। দু-একদিন অন্তর রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়িয়ে চলেছে। এর আগে শুক্রবার তেলের দাম বেড়েছিল। তারপর ফের রবিবার বাড়ল তেলের দাম। আজ কলকাতায় লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ২৮ পয়সা ও ডিজেলের দাম ২৮ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে, পেট্রোলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে লিটার প্রতি ৯৭ টাকা ১২ পয়সা। আর লিটার প্রতি ডিজেলের দাম বেড়ে হয়েছে ৯০ টাকা ৮২ পয়সা।

আরও পড়ুন : মুছে ফেলা হচ্ছে একের পর এক ‘হিন্দু’ পেজ! Facebook বয়কটের ডাকে সরব নেটিজেনরা

অন্যদিকে মুম্বইতে আজ লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৩ টাকা ৩৬ পয়সা। আর ডিজেলের দাম ৯৫ টাকা ৪৪ পয়সা। দিল্লিতেও সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছে পেট্রোলের দাম। আজ সেখানে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ টাকা ২২ পয়সা। আর ডিজেলের দাম ৮৭ টাকা ৯৭ পয়সা। তালিকায় পিছিয়ে নেই চেন্নাই। সেখানে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮ টাকা ৪০ পয়সা। ডিজেলের দাম ৯২ টাকা ৫৮ পয়সা।

দেশের মধ্যে ভোপালে পেট্রোলের দাম সর্বোচ্চ। আজ সেখানে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৫ টাকা ৩৩ পয়সা। আর ডিজেলের দাম ৯৬ টাকা ৬৫ পয়সা। এছাড়া রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলাঙ্গানা, কর্নাটকের মতো রাজ্যে ইতিমধ্যেই পেট্রোলের দাম ১০০টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দেশের আর্থিক অবস্থা বেহাল। এই পরিস্থিতিতে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। আর তার মধ্যে দু-একদিন অন্তর তেলের দাম বাড়তে থাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামও ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। খুচরো বাজারের বিভিন্ন পণ্যের দামও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্তের মাথায় হাত পড়েছে।

এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সম্প্রতি বলেছেন, “মানছি জ্বালানির দামবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু একবছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে করোনার টিকার জন্য। এই কঠিন পরিস্থিতিতে কল্যাণমূলক প্রকল্পের জন্য আমরা অর্থ সঞ্চয় করছি।”

অন্যদিকে, অর্থনীতিবিদদের একাংশের যুক্তি, একটা স্তরে সরকারের উচিত দাম নিয়ন্ত্রণ করা। তাঁদের মতে, এটা জরুরি পণ্য। এর সঙ্গে বাজারের অন্য পণ্যের দামের ওঠানামা যুক্ত। এর দায় এড়াতে পারে না সরকার। একটা স্তরে দাম নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।

পেট্রোল -ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে জিনিসের দামবেড়েছে। মধ্যবিত্তের আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনী জিনিস। সেকারণেই পরিবহণ খরচ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। যার জেরে কাঁচা সবজি থেকে চাল-ডাল সবকিছুর দাম হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে। তার সঙ্গে দফায় দফায় লকডাউনে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরাও। অবশ্য এই খুব একটা হেলদোল নেই কেন্দ্রের। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী এই মূল্য বৃদ্ধিকে খুব একটা আমোল দিতে চাননি। ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছেন, মানছি জ্বালানির দামবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু একবছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে করোনার ভ্যাকসিনের জন্য। এই কঠিন পরিস্থিতিতে কল্যাণমূলক প্রকল্পের জন্য আমরা অর্থ সঞ্চয় করছি। অন্যদিকে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা ময়দানে নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

আরও পড়ুন : পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্যর দাবি, বঙ্গভঙ্গের আওয়াজ তুললেন খোদ বিজেপি সাংসদ 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest