ওয়েব ডেস্ক: একদিকে উত্তপ্ত লাদাখ, অন্যদিকে কাশ্মীরেও বিরাম নেই অশান্তির। জম্মু কাশ্মীরে গুলি করে পাক ড্রোন নামাল বিএসএফ। রাঠুয়া গ্রামের আন্তর্জাতিক সীমান্তে ওড়ার সময় শনিবার ভোর ৫.১০ মিনিটে বিএসএফ জওয়ানরা গুলি করে পাকিস্তানের ওই ড্রোনটিকে নামান।
শনিবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায় একটি পাকিস্তানি ড্রোন গুলি করে নামাল বিএসএফ। সীমান্তবর্তী রাঠুয়া এলাকায় উড়ছিল এই ড্রোনটি।
আরও পড়ুন : এবার কি প্রত্যাঘাত? সীমান্তে শুরু ‘এয়ার ডমিন্যান্স’? লাদাখে উড়ছে অ্যাপাশে-চিনুক
সকাল ৫.১০ নাগাদ হিরানগর সেক্টরে রাঠুয়াতে ড্রোনটি ওড়াতে গিয়ে বিপাকে পড়ে পাকিস্তান। কাঠুয়া পুলিশ কন্ট্রোল রুমের অধিকর্তা জানিয়েছেন যে একজন বিএসএফ প্যাট্রোল ড্রোনটিকে গুলি করে নামান। একটি মাঠে গিয়ে পড়ে ড্রোনটি।
এখনও বিএসএফ কোনও বিবৃতি দেয়নি এই বিষয়ে। ভারতীয় সেনা কোথায় কোথায় মোতায়েন আছে ও ফাঁকফোকর দিয়ে কীভাবে সন্ত্রাসবাদীদের ঢুকিয়ে দেওয়া যায়, তার জন্যেই এই ড্রোনগুলি ব্যবহার করে পাকিস্তানের রেঞ্জার ও পাকিস্তান সেনা।
গুপ্তচরবৃত্তির উদ্দেশ্যেই ড্রোনটি ভারতীয় আকাশসীমায় ঢুকেছিল বলে সূত্রের খবর। কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলার হীরানগর সংলগ্ন এলাকায় ড্রোনটিকে উড়তে দেখা যায়। ড্রোনটিকে গুলি করে মাটিতে নামানোর পর তা থেকে বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
ওই পাকিস্তানি ড্রোনের ভেতর থেকে একটি এম-৪ আমেরিকায় তৈরি রাইফেল, ২টি ম্যাগাজিন, ৬০ রাউন্ড বুলেট এবং সাতটি গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছে। শনিবার ভোর ৫.১০ মিনিটে ড্রোনটিকে গুলি করে নামানো হয়। সাব-ইন্সপেক্টর দেবেন্দ্র সিং ড্রোনটিকে নামাতে আট রাউন্ড গুলি চালান। পানসারের বর্ডার আউটপোস্ট (Border Outpost)-এর কাছে ড্রোনটিকে নীচে নামানো হয়।
ভারত-পাক আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ২৫০ মিটার ভারতের ভেতরে নামানো হয় ড্রোনটিকে। ড্রোনের প্লেলোডে আলি ভাই নামে একজনের নাম পাওয়া গিয়েছে। এই আলি ভাইয়ের জন্যই অস্ত্রশস্ত্র পাঠানো হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। কে এই আলি ভাই, তার খোঁজ চলছে। আট ফুট চওড়া ড্রোনটিকে সীমান্তের ওপার থেকে পাক ঘাঁটি নিয়ন্ত্রণ করছিল বলে মনে করছে বিএসএফ।
আরও পড়ুন : অহমের প্রথম রাজা ‘চিনা অনুপ্রবেশকারী’ চোটে লাল সোনেওয়াল,বাংলা পক্ষের গর্গকে গ্রেফতারের নির্দেশ