অতিমারীর কবলে পড়ে হাঁসফাঁস অবস্থা এতদিনের চেনা জীবনের। মুখে মাস্ক পরলেই শুধু হবে না, রাখতে হবে সামাজিক দূরত্বও। ঠিক এই কারণেই ফুচকার টক-ঝাল আনন্দ থেকে ইদানীং বঞ্চিত হতে হচ্ছে ফুচকাপ্রেমীদের। কিন্তু এবার তাদের জন্য আশার আলো। দেখা মিলল অটোমেটিক ফুচকা মেশিনের (Automatic pani puri machine)।
করোনা মহামারীর কালে হাতের ছোঁয়া নিয়েই তো যত চিন্তা। হাত মেলানোতেই যেখানে ভয়, সেখানে হাত ডোবানো টকজল নিয়ে তো আরও চিন্তা। এমন এক সঙ্কটের দিনে বুদ্ধি বার করেছেন ছত্তিসগড়ের রাইপুরের এক ফুচকাওয়ালা। ফুচকা বানানোটুকু ঠিক আছে কিন্তু টকজলের গামলায় যাতে হাত ডোবাতে না হয় তার ব্যবস্থা করেছেন। সেই ফুচকা বিক্রেতার ভিডিয়ো এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
আরও পড়ুন: গাছের সঙ্গে বিয়ে! ধুমধাম করে প্রথম বিবাহবার্ষিকী পালন করলেন দুই সন্তানের মা
আইএএস অফিসার অবনীশ শরণ প্রথম এই ভিডিয়োটি টুইট করেন। এর পর থেকেই তা ছড়াতে শুরু করে। সেই ভিডিয়োতেই অটোমেটিক ফুচকা মেশিন দেখা যাচ্ছে। এই ফুচকা বিক্রেতার কাছে আবার শুধুই টকজল নয়, নানা স্বাদের জল মেলে। টক-মিষ্টি জল থেকে ধনে-পুদিনা জল, যেমন ইচ্ছে তেমনটা পাবেন ক্রেতারা। তবে সেটা ক্রেতাকেই নিয়ে নিতে হবে। নির্দিষ্ট জায়গায় ফুচকা নিয়ে গেলেই পরিমাণ মতো পছন্দের স্বাদের জল ভরে যাবে। বিক্রেতা এর নাম দিয়েছেন— ‘টাচ মি নট পানিপুরী’।
तेलीबांधा रायपुर का ऑटोमैटिक पानीपुरी वाला.
ग़ज़ब का जुगाड़.?? pic.twitter.com/rbEIwFe24l— Awanish Sharan (@AwanishSharan) September 15, 2020
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তেঁতুল জলের মেশিনটিতে তিনটি নজেল রয়েছে। তাতে ৩টি ফ্লেভারের জল রয়েছে। একটিতে রসুন ফ্লেভার, একটিতে খাট্টামিঠা এবং আরেকটিতে ধনিয়া-পুদিনা। অর্থাৎ, আলুমাখা ভর্তি ফুচকা যে ফ্লেভারের জল দিয়ে খেতে ইচ্ছুক ক্রেতা, তিনি সেই নজেলের নীচে ফুচকা ধরলে পরিমাণ মতো জলে ভর্তি হচ্ছে ফুচকায়। তার পরে মুখে দিলেই বাজিমাত।