দেশে দৈনিক করোনাভাইরাসে সংক্রমিতের সংখ্যা ফের ঊর্ধ্বমুখী। সপ্তাহ দু’য়েক ৬০ হাজারের ঘরে ঘোরাফেরা করার পর বৃহস্পতিবার নতুন সংক্রমণ বেড়ে হয়েছিল ৭৫ হাজার। শুক্রবার হল ৭৭ হাজার। এই বৃদ্ধি এখনও অবধি সর্বোচ্চ। সঙ্গে দৈনিক মৃত্যুও গত কয়েক দিন ধরে এক হাজার ছাড়াচ্ছে। সঙ্গে সংক্রমণ হার আজ সাড়ে আট শতাংশ ছাড়িয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৭৭ হাজার ২৬৬ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। এক দিনে এত সংখ্যক মানুষ এর আগে আক্রান্ত হননি। যার জেরে দেশের মোট আক্রান্ত হলেন ৩৩ লক্ষ ৮৭ হাজার ৫০০ জন। ওই সময়ের মধ্যে আমেরিকা ও ব্রাজিলে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৪৪ হাজার ৪৫১ ও ৪৪ হাজার ২৩৫ জন। অর্থাৎ আমেরিকা ও ব্রাজিলের তুলনায় ভারতে রোজ বেশি লোক নতুন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। এই ধারা গত ১০ দিন ধরেই অব্যাহত। আক্রান্তের নিরিখে বিশ্বে প্রথম স্থানে থাকা আমেরিকাতে মোট আক্রান্ত ৫৮ লক্ষ ৬৬ হাজার ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে ৩৭ লক্ষ ৬১ হাজার।
আরও পড়ুন: আকাশেও চীনকে মোক্ষম টক্কর, মোকাবিলায় আসছে ইজরায়েলি ‘ফ্যালকন’
ভারতের কোভিড পরিসংখ্যানে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭,১৮,৭১১ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৩,০৮৯ জনের। সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫,২২,৪২৭ জন। মহারাষ্ট্রে অ্যাকটিভ কেস ১,৭৩,১৯৫। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। এখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৯৭,২৬১। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৬৮৩৯ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৩,৩৮,০৬০ জন। তামিলনাড়ুতে অ্যাকটিভ কেস ৫২,৩৬২।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। এখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৮২,৪৬৯। মৃত্যু হয়েছে ৩৫৪১ জনের। সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ২,৮৬,৭২০ জন। তামিলনাড়ুতে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ৯২,২০৮।ভারতের কোভিড পরিসংখ্যানে চতুর্থ স্থানে রয়েছে কর্নাটক। এখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩,০০,৪০৬। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৫০৯১ জনের। সুস্থ হয়েছেন ২,১১,৬৮৮ জন। কর্নাটকে অ্যাকটিভ কেস ৮৩,৬২৭।
ভারতের কোভিড পরিসংখ্যানে পঞ্চম স্থানে রয়েছে রাজধানী শহর দিল্লি। এখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,৬৫,৭২০। কোভিড-১৯ সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৪৩৪৭ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১,৪৮,৮৯৭ জন। দিল্লিতে অ্যাকটিভ কেস ১২,৫২০।
আরও পড়ুন: কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল পরীক্ষা নিতেই হবে, রায় সুপ্রিম কোর্টের