ভারতের সুপারহিট সানডে। একই দিনে তিনটে পদক। জাতীয় ক্রীড়া দিবসে (National Sports Day) টোকিওর মঞ্চে সাফল্য ধরা দিল ভারতীয় খেলাধূলায়। প্যারালিম্পিকে (PARALYMPICS) ভারতকে তৃতীয় পদক এনে দিলেন বিনোদ কুমার (Vinod Kumar)। সকালে ভাবিনা প্যাটেল আর বিকেলে নিশাদ কুমারের রুপোর পর ব্রোঞ্জ পেলেন বিনোদ কুমার। ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে ফের একবার সাফল্য এল ভারতে।
বিনোদ পঞ্চম প্রচেষ্টায় ১৯.৯১ মিটার দূরে ডিসকাস ছুঁড়ে পোডিয়ামে ওঠা নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম চারটি প্রচেষ্টায় যথাক্রমে ১৭.৪৬, ১৮.৩২, ১৭.৮০ ও ১৯.১২ মিটার দূরে ডিসকাস ছোঁড়েন। ষষ্ঠ তথা শেষ প্রচেষ্টায় তিনি ১৯.৮১ মিটার দূরত্বে থ্রো করেন।
২০.০২ মিটার দূরত্বে ডিসকাস ছুঁড়ে এই ইভেন্টে সোনা জেতেন পোল্যান্ডের পিয়র কোসেউইজ। ১৯.৯৮ মিটার দূরে ডিসকাস ছুঁড়ে রুপো জেতেন ক্রোয়েশিয়ার ভেলিমির সানদোর। বিনোদের ১৯.৯১ মিটারের পারফর্ম্যান্স তাঁর ব্যক্তিগত সেরা তো বটেই, এমনকি নতুন এশিয়ান রেকর্ড হওয়ায় তা ভারতের জাতীয় রেকর্ড হিসেবেও চিহ্নিত হয়ে থাকবে। ৪১ বছর বয়সে ব্রোঞ্জ পেয়ে অনন্য নজির গড়লেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘তিলকে তাল করবেন না’, নাদিমের জ্যাভলিন নেওয়া নিয়ে ভিডিও বার্তা নীরজের
সেনার পরিবার থেকে উঠে আসা বিনোদ কুমারের। ১৯৭১ সালের যুদ্ধে সেনা দলে ছিলেন বিনোদের বাবা। পড়াশোনা শেষ করে বিনোদও বিএসএফে যোগ দেওয়ার কথা ভাবেন। ২০০২ সালে লে-তে ট্রেনিং করার সময় ক্লিভ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হন বিনোদ। পায়ে গুরুতর চোট পান। এরপর ১০ বছর বিছানা ছেড়ে উঠতে পারেননি বিনোদ। সেই সময় বাবা-মা দুজনকেই হারান।
২০১৬ সালে প্যারালিম্পিকের খবর জানতে পারেন বিনোদ কুমার। এর আগে তিনি জানতেন না প্যারা অ্যাথলেটিক্স বলে কিছু হয়। খবর পেয়েই রোহতকে সাইতে গিয়ে অনুশীলন শুরু করেন বিনোদ কুমার। ২০১৯ সালে প্রথম বার আন্তর্জাতিক স্তরে অংশ নেন। প্যারিসে হ্যান্ডিস্পোর্ট ওপেন প্যারা অ্যাথলেটিক্স গ্রাঁ প্রি-তে অংশ নেন। সেবারই F-52 বিভাগে অংশ নিয়ে চতুর্থ হন। এ বছর টোকিও প্যারালিম্পিকে অংশ নেওয়ার আগে ফাজ্জা প্যারা অ্যাথলেটিক্স গ্রাঁ প্রি-তে ব্রোঞ্জ পান। সেই সঙ্গে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়েও ৬ নম্বরে উঠে আসেন।
আরও পড়ুন: প্য়ারালিম্পিক্সে রুপো জয় হাই জাম্পার নিশাদ কুমারের