কলকাতা: একে রামে রক্ষে নেই সুগ্রীব দোসর! এমনিতেই গত কয়েকদিন ধরে আমফানের আতঙ্কে কাঁপছে বাংলার (West Bengal) মানুষজন, তার উপর আবার নতুন করে আতঙ্ক দেখা গেল ভূমিকম্পের (Earthquake) জেরে।
বুধবার মৃদু ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলা (Bankura)। রিখটার স্কেলে ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.১ ম্যাগনিটিউড। জানা গেছে, বুধবার সকাল ১১.২৪ নাগাদ ওই ভূমিকম্পটি হয়। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৫ কিমি গভীরতায় অক্ষাংশের ২৩.৫ ডিগ্রি উত্তরে এবং দ্রাঘিমাংশের ৮৭.১ ডিগ্রি পূর্ব হল ওই ভূমিকম্পের উৎসস্থল। বাঁকুড়ায় ওই ভূমিকম্পটি মাত্র দুই সেকেন্ডের জন্যে স্থায়ী থাকলেও আতঙ্ক ছড়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে। এদিকে রাজ্যের দিকে প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। বুধবার বিকেল ৪টে থেকে সন্ধে ৬টার মধ্যেই পূর্ণ শক্তি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা ওই ঘূর্ণিঝড়টির।
২০ টি বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে বাংলা এবং ওড়িশার ত্রাণের কাজ চালানোর জন্যে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বিশাখাপত্তনম ও তামিলনাড়ুতে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে সাহায্যের জন্যে প্রস্তুত রাখা হয়েছে নৌসেনা পরিচালিত বিশেষ বিমানও।
আরও পড়ুন: সাগর দ্বীপ থেকে ১২৫ কিমি দূরে, গতি বাড়িয়ে বাংলার আরও কাছে আমফান
নৌবাহিনীর তরফ থেকে বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত এই ঝড়টির দিকে কড়া দৃষ্টি রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে তারা। যে কোনও ধরণের ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে সহায়তার জন্যে দুই রাজ্যের সরকারকেই আশ্বস্ত করেছে নৌসেনা।
এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে আমফান প্রবল বেগে বয়ে যাবে পশ্চিমবঙ্গের দিঘা হয়ে বাংলাদেশের হাতিয়ার দিকে, এর ফলে এরাজ্যে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার গতিতে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, সঙ্গে চলবে লাগাতার ভারী বৃষ্টি। এই ঝড়ের গতিবেগ বেড়ে কোথাও কোথাও আবার ২০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টাও হতে পারে। সমুদ্র এবং নদীগুলোতে আমফানের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাস ৮ মিটারেরও বেশি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর।
আরও পড়ুন: কলকাতার দিকেই মুখ আমফানের, ১০০ কিমির বেশি বেগে বইতে পারে, জারি লাল সতর্কতা