কৃষ্ণাঙ্গ-মৃত্যুতে জ্বলছিল আমেরিকা, প্রতিবাদের ঢেউ এবার ইউরোপেও!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ওয়াশিংটন: মিনিয়াপোলিসে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের (George Floyd) খুনের প্রতিবাদে মার্কিন মুলুকের প্রতিবাদের আঁচ ছড়িয়ে পড়ল ইউরোপেও। জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় নেমে ধিক্কার জানাতে শুরু করেছেন লন্ডন (London), বার্লিন (Berlin)-সহ একাধিক শহরের মানুষও।

বিক্ষোভ-অশান্তির আঁচ পৌঁছেছিল হোয়াইট হাউজ পর্যন্তও। প্রতিদিনই নতুন নতুন শহরে ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভ। পুলিশি অত্যাচারে জর্জের মৃত্যুর পর ছ’দিন কেটে গেলেও শান্ত হচ্ছে না পরিস্থিতি। অভিযুক্ত পুলিশকর্মী ডেরেক শভিনের বিরুদ্ধে থার্ড ডিগ্রি খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে, সাসপেন্ড হয়েছেন ঘটনাস্থলে থাকা তিন পুলিশকর্মী। কিন্তু প্রতিবাদকারীদের দাবি, আরও কড়া অভিযোগ আনতে হবে ডেরেকের বিরুদ্ধে। 

আরও পড়ুন: কৃ্ষ্ণাঙ্গ হত্যার জের:হোয়াইট হাউসে বিক্ষোভ, ভয়ে–আতঙ্কে মাটির নীচে আত্মগোপন ট্রাম্পের

বিচার চেয়ে আজ লন্ডনে (London) মার্কিন দূতাবাসের (US Embassy) জমায়েত করেন শতাধিক মানুষ। নতুন করে বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে ব্রিটেনের ম্যাঞ্চেস্টার ও কার্ডিফ শহরেও। জার্মানির বার্লিনেও (Berlin) বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন শত শত মানুষ। বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে কানাডার টরন্টোতেও।

২৫ মে জর্জ ফ্লয়েড (George Floyd) নামে এক নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গের ঘাড়ের উপর হাঁটু দিয়ে চেপে ধরেছেন এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার। ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না’- এই কথাটা বলতে বলতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন জর্জ।

এই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরই কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদে পথে নামেন মানুষ। ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না’- জর্জের উচ্চারণ করা শেষ কথাটাই হয়ে ওঠে তাঁদের স্লোগান। অনেকের মতেই, ১৯৬৮ সালে মার্টিন লুথার কিংয়ের (Martin Luther King) মৃত্যুর পর এই ধরনের বর্ণবিদ্বেষের (Black Lives Matter Protest) বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ দেখেনি আমেরিকা। 

ফ্লয়েডের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করলেও এই বিক্ষোভ মেনে নিতে পারছেন না প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (President Trump)। তাঁর কথায়, ‘সমাজবিরোধীর দল ভাঙচুর চালাবে, সেটা আমরা হতে দেব না। আমার প্রশাসন এই হিংসা থামাবে, আমরা এই বিক্ষোভ ঠান্ডা করে দেব।’

আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের ডেমোক্র্যাটিক প্রতিপক্ষ জো বাইডেন হিংসার নিন্দা করলেও বলেন, ‘কৃষ্ণাঙ্গদের উপর এই নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রয়োজনীয়এবং ন্যায্য।’ হোয়াইট হাউসের সামনে প্রতিবাদের ব্যাপকতার খবর পেয়েই ট্রাম্প নাকি বাঙ্কারে আশ্রয় নেন!

আরও পড়ুন: ভারতের ভূ-খণ্ড নিয়ে সংসদে নয়া মানচিত্র বিল পেশ নেপালের, কলকাঠি কী চিনের?

Gmail 3

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest