শিখ ধর্মের প্রবক্তা এবং এই ধর্মের প্রথম গুরু হলে গুরু নানক (Guru Nanak)। প্রতি বছর কার্তিক পূর্ণিমা তিথিতে তাঁর জন্মোৎসব পালন করা হয়। তাঁর জন্মদিনই ‘গুরু নানক জয়ন্তী’ নামে পরিচিত। তাঁর জন্মদিন চন্দ্র ক্যালেন্ডারের ওপর নির্ভর কররে তৈরি হয়।
ইতিহাসে বর্ণিত আছে, ১৮৬৯ সালে কার্তিক পূর্ণিমাতে (Kartik Purnima) গুরু নানক দেব লাহোরের কাছে জন্মগ্রহণ করেন। যা তৎকালীন ভারতে অবস্থিত ছিল। বর্তমানে পাকিস্তানের অন্তভূক্ত এই জায়গা। তিনি ইসলাম ও হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেন। তিনি ১৮৯৬ সালে পরিবার ত্যাগ করেন। ঈশ্বরকে উপলব্ধি করার উদ্যেশে তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রকে ত্যাগ করেন। তারপর নানা জায়গা ভ্রমণ করে বাণী প্রচার শুরু করেন। তিনিন আরবের মক্কা, মদিনা, বাগদাদ, শ্রীলঙ্কা-সহ বিভিন্ন স্থানে বাণী প্রচার করেন। তাঁর বাণী ‘গুরু গ্রন্থ সাহেব’ (Guru Grantha Saheb) নামক বইতে লেখা। গুরু নানক দেব এক ঈশ্বরে বিশ্বাসী ছিলেন। পঞ্চদশ শতাব্দীতে তিনি শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠা করেন।
শিখ ধর্মের প্রবক্তা এবং এই ধর্মের প্রথম গুরু হলে গুরু নানক (Guru Nanak)। প্রতি বছর কার্তিক পূর্ণিমা তিথিতে তাঁর জন্মোৎসব পালন করা হয়। তাঁর জন্মদিনই ‘গুরু নানক জয়ন্তী’ নামে পরিচিত। তাঁর জন্মদিন চন্দ্র ক্যালেন্ডারের ওপর নির্ভর কররে তৈরি হয়। এই বছর ৫৫২ তম নানক প্রকাশ পর্ব বা গুরু নানক জয়ন্তী উদযাপন হবে। এদিন উৎসব (festival) শুরু ৪৮ ঘন্টা আগে এক টানা গুরুগ্রন্থ (Guru Grantha) পড়া হয়। কোনও বিরতি ছাড়া এই গ্রন্থ পাঠ করা হয়। তা শেষ হলে শুরু হয় ‘নগরকীর্তন’। যা প্রভাত ফেরি হিসেবেও পরিচিত।
এই মিছিল (rally) গুরুদুয়ার থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় যায়। নিশান সাহিব পতাকা নিয়ে মিছিল হয়। বহন করা হয় পালকি। যেখানে থাকেন গুরু গ্রন্থ সাহিব। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ধর্মীয় গান গেয়ে থাকেন। এরপর গুরু দুয়ারে ফিরে খাবার বিতরণ করা হয়। দুপুরে লঙ্গরে বিশেষ খাবার বিতরণ করা হয়। স্বেচ্ছাসেবকরা এই দিন দরিদ্রদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন। এই ভাবেই পালিত হয় এই উৎসব।