করোনা অধ্যুষিত পৃথিবীতে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ নতুন কোনও সংজ্ঞা নয়। কিন্তু তাই বলে ক্রিকেট কমেন্ট্রিতে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’? সেটাও আবার আইপিএলে? আশ্চর্য শোনাচ্ছে? শোনাক। আসন্ন আইপিএলে (IPL) ধারাভাষ্যকারদের জন্য সেটাই কিন্তু ‘নিউ নর্মাল’ হতে পারে!
ক্রিকেট সম্প্রচার একটি সংস্থা ধারাভাষ্যকার দের জন্য এই সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। আপাতত একটি ম্যাচে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যাপারটি দেখা হয়েছিল। ঠিক ছিল, সব ভাল মতো হলে এবার আইপিলেও ধারাভাষ্যকাররা বাড়িতে বসেই ধারাবিবরণী দেবেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল টি-থ্রি ক্রিকেট। সেখানে তিনটি দল একটি ম্যাচে খেলেছিল। ক্রিকেটের এই নতুন ফরম্যাট নিয়ে আলোচনা ছিল জোরদার। সেই ম্যাচে এবি ডিভিলিয়ার্স-এর দল সোনা জিতেছে। ওই ম্যাচে ইরফান পাঠান, দীপ দাশগুপ্ত ও সঞ্জয় মঞ্জরেকার নিজেদের বাড়ি থেকে ধারাবিবরণী দিয়েছিলেন। এমনকী ম্যাচটির সম্প্রচার করা সংস্থার একাধিক ক্রিউ মেম্বার বাড়ি থেকেই কাজ করেছিলেন।
ইরফান ভদোদরা থেকে, দীপ কলকাতা ও সঞ্জয় মুম্বাইতে বসে নিজেদের দায়িত্ব সামলেছেন। পাঠান বলছিলেন, “আমরা নেটওয়ার্ক কানেকশান নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলাম। ম্যাচ চলাকালীন সবসময় তো আর নেটওয়ার্ক সমান থাকবে না। তবে সব কিছু দারুনভাবে ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কোনও অসুবিধা হয়নি। আমি আলাদা ঘরে বসে কাজ করেছি। যাতে কাজে কেউ ব্যাঘাত না ঘটায়। ভার্চুয়াল কমেন্ট্রি একেবারে নতুন ব্যাপার। এটার সঙ্গে মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে। তবে এই করোনা পরিস্থিতির মাঝে এমন করা ছাড়া উপায় নেই।”
শোনা গেল, কয়েকটা সমস্যা হচ্ছে। যেমন, অনলাইন কমেন্ট্রিতে দু’টো ‘বাটন’ ব্যবহার করতে হচ্ছে ধারাভাষ্যকারদের। একটা ‘অন এয়ারের।’ আর একটা ‘অফ এয়ারের’। স্টুডিওতে ধারাভাষ্যকাররা ‘অফ এয়ার’ গেলে সেখানে ডিরেক্টর শুধু কথা বলেন। কিন্তু অনলাইনে করলে ‘অফ এয়ারে’ প্রোডিউসার থেকে ডিরেক্টর, স্ট্যাটিসটিশিয়ান, সবাই কথা বলতে থাকেন। মাঠে যা হয় না। আরও একটা সমস্যা, কমেন্ট্রিবক্সের নিয়ম হল দুজন থাকলে একজন ধারাভাষ্যকার মাইক্রোফোন তুলে নেন। আর একজন নামিয়ে রাখেন। কিন্তু এখানে একজন ধারাভাষ্যকার দেখতে পাচ্ছেন না অন্যজন কী করছেন। যে কারণে ওভারল্যাপিং হয়ে যাচ্ছে। সঙ্গে আরও একটা সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছে যে, আইপিএলের উত্তেজনার আবহ বাড়ি বসে কী করে সৃষ্টি করা সম্ভব?কিন্তু উপায়ও বা কী? এমন অভূতপূর্ব পরিস্থিতি কবেই বা দেখেছে ক্রিকেট!
সেই কারণে এবার দুবাইতে আইপিএল অনুষ্ঠিত হলেও ভার্চুয়াল কমেন্ট্রি দেখা যেতে পারে। আপাতত তেমনই আভাস পাওয়া যাচ্ছে। ধারাভাষ্যকার মহলে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেল যে, আইপিএলে মাঠে এবার বিশাল কমেন্ট্রি টিম থাকবে না। মাঠে কয়েক জন ধারাভাষ্যকার থাকবেন। বাকিরা করবেন বাড়ি থেকে। দেখা যাচ্ছে, একটা ওয়াইফাই কানেকশন আর টিভি থাকলেই বাড়ি থেকে ধারাভাষ্য সম্ভব। অতএব মনে করা হচ্ছে, আইপিএলের স্টুডিও কমেন্ট্রিটাই এবার ধারাভাষ্যকারদের বাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
WFH! বাড়ি থেকেই দেবেন ধারাভাষ্যকাররা! করোনা আবহে বেনজির উদ্যোগ আইপিএলে
করোনা অধ্যুষিত পৃথিবীতে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ নতুন কোনও সংজ্ঞা নয়। কিন্তু তাই বলে ক্রিকেট কমেন্ট্রিতে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’? সেটাও আবার আইপিএলে? আশ্চর্য শোনাচ্ছে? শোনাক। আসন্ন আইপিএলে (IPL) ধারাভাষ্যকারদের জন্য সেটাই কিন্তু ‘নিউ নর্মাল’ হতে পারে!
ক্রিকেট সম্প্রচার একটি সংস্থা ধারাভাষ্যকার দের জন্য এই সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। আপাতত একটি ম্যাচে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যাপারটি দেখা হয়েছিল। ঠিক ছিল, সব ভাল মতো হলে এবার আইপিলেও ধারাভাষ্যকাররা বাড়িতে বসেই ধারাবিবরণী দেবেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল টি-থ্রি ক্রিকেট। সেখানে তিনটি দল একটি ম্যাচে খেলেছিল। ক্রিকেটের এই নতুন ফরম্যাট নিয়ে আলোচনা ছিল জোরদার। সেই ম্যাচে এবি ডিভিলিয়ার্স-এর দল সোনা জিতেছে। ওই ম্যাচে ইরফান পাঠান, দীপ দাশগুপ্ত ও সঞ্জয় মঞ্জরেকার নিজেদের বাড়ি থেকে ধারাবিবরণী দিয়েছিলেন। এমনকী ম্যাচটির সম্প্রচার করা সংস্থার একাধিক ক্রিউ মেম্বার বাড়ি থেকেই কাজ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গলকে বাঁচাতে চান এই প্রবাসী বাঙালি শিল্পপতি,কিনতে আগ্রহী ৫০ শতাংশ শেয়ার
ইরফান ভদোদরা থেকে, দীপ কলকাতা ও সঞ্জয় মুম্বাইতে বসে নিজেদের দায়িত্ব সামলেছেন। পাঠান বলছিলেন, “আমরা নেটওয়ার্ক কানেকশান নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলাম। ম্যাচ চলাকালীন সবসময় তো আর নেটওয়ার্ক সমান থাকবে না। তবে সব কিছু দারুনভাবে ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কোনও অসুবিধা হয়নি। আমি আলাদা ঘরে বসে কাজ করেছি। যাতে কাজে কেউ ব্যাঘাত না ঘটায়। ভার্চুয়াল কমেন্ট্রি একেবারে নতুন ব্যাপার। এটার সঙ্গে মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে। তবে এই করোনা পরিস্থিতির মাঝে এমন করা ছাড়া উপায় নেই।”
শোনা গেল, কয়েকটা সমস্যা হচ্ছে। যেমন, অনলাইন কমেন্ট্রিতে দু’টো ‘বাটন’ ব্যবহার করতে হচ্ছে ধারাভাষ্যকারদের। একটা ‘অন এয়ারের।’ আর একটা ‘অফ এয়ারের’। স্টুডিওতে ধারাভাষ্যকাররা ‘অফ এয়ার’ গেলে সেখানে ডিরেক্টর শুধু কথা বলেন। কিন্তু অনলাইনে করলে ‘অফ এয়ারে’ প্রোডিউসার থেকে ডিরেক্টর, স্ট্যাটিসটিশিয়ান, সবাই কথা বলতে থাকেন। মাঠে যা হয় না। আরও একটা সমস্যা, কমেন্ট্রিবক্সের নিয়ম হল দুজন থাকলে একজন ধারাভাষ্যকার মাইক্রোফোন তুলে নেন। আর একজন নামিয়ে রাখেন। কিন্তু এখানে একজন ধারাভাষ্যকার দেখতে পাচ্ছেন না অন্যজন কী করছেন। যে কারণে ওভারল্যাপিং হয়ে যাচ্ছে। সঙ্গে আরও একটা সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছে যে, আইপিএলের উত্তেজনার আবহ বাড়ি বসে কী করে সৃষ্টি করা সম্ভব?কিন্তু উপায়ও বা কী? এমন অভূতপূর্ব পরিস্থিতি কবেই বা দেখেছে ক্রিকেট!
সেই কারণে এবার দুবাইতে আইপিএল অনুষ্ঠিত হলেও ভার্চুয়াল কমেন্ট্রি দেখা যেতে পারে। আপাতত তেমনই আভাস পাওয়া যাচ্ছে। ধারাভাষ্যকার মহলে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেল যে, আইপিএলে মাঠে এবার বিশাল কমেন্ট্রি টিম থাকবে না। মাঠে কয়েক জন ধারাভাষ্যকার থাকবেন। বাকিরা করবেন বাড়ি থেকে। দেখা যাচ্ছে, একটা ওয়াইফাই কানেকশন আর টিভি থাকলেই বাড়ি থেকে ধারাভাষ্য সম্ভব। অতএব মনে করা হচ্ছে, আইপিএলের স্টুডিও কমেন্ট্রিটাই এবার ধারাভাষ্যকারদের বাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন: Gorgeous! থ্রোব্যাক ছবি পোস্ট করে ফের একবার ঝড় তুললেন সানিয়া মির্জা