পিরিয়ডস হওয়া মানেই পেট ব্যথার যন্ত্রণায় কাবু হওয়া। এটি একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া যা প্রতি মাসেই হয়। এইসময় কখনও কখনও তলপেটে কম বেশি ব্যথা অনুভব হয়। অনেকেই ঘন ঘন ওষুধ খান। কিন্তু তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ না খাওয়াই ভালো। বরং ঘরোয়া কিছু উপায় আছে যার মাধ্যমে ব্যথা কমার পাশাপাশি শারীরিক সুস্থতাও বজায় থাকবে।
* পিরিয়ডের ব্যথা কমাবার একটি উপায় গরম জলের সেঁক। পেট ব্যাথার সময় গরম জলের সেঁক দিলে ব্যথা কমে যায়। হট ব্যাগের করে গরম জল নিয়ে পেটে সেঁক দিলে কমে যাবে।
* এই সময় আদা ব্যথা কমাতে ভীষণ ভাবে সাহায্য করে। শুধু ব্যথা নয়, অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতেও সাহায্য করে আদা। তাই ফুটন্ত গরম জলে আদা গ্রেট করে দিয়ে, সেই ফোটানো জলে একটু মধু ও একটু লেবু রস দিয়ে সেটি খেতে পারেন। দিনে দু থেকে তিনবার খান।
আরও পড়ুন: যৌন ইচ্ছা বাড়াতে ভায়াগ্রা দরকার নেই, পেঁয়াজের রসই যথেষ্ট! বলছেন হরমোন বিশেষজ্ঞরা
* ব্যথা কমাতে কিছু বিশেষ ভিটামিনের ভূমিকা আছে। আর তাই যারা পিরিয়ডসের সময় পেট ব্যথার যন্ত্রণায় ভোগেন তারা সবসময় ভিটামিন ই যুক্ত খাবার খান।
* আদা ছাড়াও আরেকটি খুব সহজ উপাদান যেটি ব্যথা থেক মুক্তি দিতে দারুন কার্যকরী সেটি হল তুলসী। কাঁচা তুলসী পাতা খেতে পারেন। অথবা তুলসী পাতার রস করে, এক কাপ গরম জলে দু থেক তিন চামচ তুলসির রস মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন। এটি দিনে দু থেকে তিন বার খান ব্যথা হলে।
* পিরিয়ডের সময় কফি বা কফি জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। এর কারণ হল কফিতে থাকা ক্যাফেইন। এই উপাদানটি পেটের ভেতর অস্বস্তির অনুভব তৈরি করে। তার ফলে শরীরে অস্বস্তি হয়।
* এইসময় দেহে জলের অভাব দেখা যায়। তাই এই সময় বেশি করে জল খান। ফলও খেতে পারেন, যা জলের চাহিদা অনেকাংশে মেটাতে পারে।
আরও পড়ুন: Breathing Problem: হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হলে কী করবেন জেনে রাখুন…