ঠান্ডা মাথায় গণহত্যা! শীতলকুচির ‘ভিডিও’প্রকাশ করে দাবি তৃণমূলের

বুধবার স্থানীয়দের মোবাইলে তোলা একটি ভিডিও একটি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হতেই প্রশ্ন উঠে গেল নির্বাচন কমিশনের দাবি নিয়ে।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কোচবিহারের শীতলকুচিতে গত ১০ এপ্রিল ভোটপ্রক্রিয়া চলাকালীন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়। সে দিনের ঘটনাস্থলের একটি ভিডিও বুধবার প্রকাশ্যে এসেছে। কলকাতা টিভি’র ওই ভিডিওটি টুইট করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়ান। তবে The News Nest ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি।

ওই ভিডিওয়ে দেখা যাচ্ছে, উত্তেজিত জনতার জমায়েত, গুলির আওয়াজ, আর্তচিৎকার এবং রক্তাক্ত অবস্থায় কয়েকজনকে পড়ে থাকতে। ডেরেক এই গুলি চালানোর বিষয়ে নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ‘ব্যাখ্যা’কে খোঁচা দিয়ে তিনি লিখেছেন, “প্রতিটি সত্য প্রকাশ্যে এল। একে অপরকে বাঁচানোর ষড়যন্ত্র পরাস্ত হল। প্রমাণিত হল, গ্রামবাসীরা সরকারি কর্মীদের কোনো ক্ষতি করেননি। পরবর্তী সরকারের উপর ভরসা রাখুন। সকলকে শাস্তি দেওয়া হবে। যিনি, যত বড়োই হোন না কেন।”

আরও পড়ুন: ‘১ জনকে মারলে ৪ জনকে মারা হবে’, শীতলকুচি নিয়ে ফের বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর

বুধবার স্থানীয়দের মোবাইলে তোলা একটি ভিডিও একটি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হতেই প্রশ্ন উঠে গেল সেই দাবি নিয়ে। ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বুথের বাইরে জটলা করছেন ৩০-৪০ জন। হাতে চ্যালাকাঠ-বাঁশ হাতে কয়েকজন ঘুরছেন। কিন্তু তাঁরা বেরিয়ে আসছিলেন বাইরে। পুলিস তাদের সরিয়ে দিচ্ছিল। কিন্তু কোনও বিক্ষোভ বা আক্রমণের ঘটনা ঘটেনি। তারপরেই দেখা গেল, কেন্দ্রীয় বাহিনী তেড়ে আসছে, আর তখনই গুলির শব্দ। আর্তনাদ করতে করতে তখন দিগবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে দৌড়তে শুরু করেছেন মানুষ। মহিলা কণ্ঠে ‘ও বাবা গো’ চিৎকার। আর তারপর আমতলি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের মূল গেটের সামনে পড়ে রয়েছে লাল জামা-কালো প্যান্ট পরিহিত একটি দেহ। নিথর, প্রাণহীন। গলায় রক্ত। ক্যামেরা মাঠে ঢুকতেই দেখা গিয়েছে এমনও আরও দু’টি দেহ। তারপর বুথের দরজায় আছড়ে পড়ে জনআক্রোশ।

এই ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার আগেই অবশ্য দিল্লিতে সদ্য মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব নেওয়া সুশীল চন্দ্রর কাছে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল। তাদের প্রশ্ন, শীতলকুচির (Sitalkuchi) ঘটনার জন্য শিলিগুড়িতে প্রচারে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলকে কোন যুক্তিতে গুন্ডা বলতে পারেন নরেন্দ্র মোদী ? কল্যাণীর সভায় প্রধানমন্ত্রী কেন মতুয়া এবং নমঃশূদ্রর বিষয় উল্লেখ করে ভেদাভেদ করবেন? জনপ্রতিনিধিত্ব আইন এবং আদর্শ নির্বাচন বিধিতে যেখানে জাতিভেদের উল্লেখে বাধা রয়েছে, সেখানে শান্তিপুরের মাঠে কেন রাজবংশী সমাজের প্রসঙ্গ টানলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? এটা কি আদর্শ নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন নয়? বক্তৃতায় কিছু বাক্য প্রয়োগের ‘অপরাধে’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে যদি ২৪ ঘণ্টার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই বা হবে না কেন? এর পক্ষে ভিডিও ফুটেজ এবং খবরের কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদনও জমা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘মেরুকরণ’ উড়িয়ে এল আনন্দর পরিবারও, মাথাভাঙায় চোখে জল মমতার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest