ওয়াশিংটন: এক-আধটা নয়, কমপক্ষে অন্তত পাঁচটি গ্রহাণু (নিকটবর্তী বিশ্ব বস্তু বা এনইও) বুধবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে এসেছে বা আসছে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা)-কে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এই উল্কা পিণ্ডের গতি ৫,২ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড গতিতে ধেয়ে আসছে এই Asteroid৷ প্রতি ঘণ্টায় গতিবেগ ১১,২০০ মাইল প্রতি ঘণ্টা ৷ নাসার খবর অনুযায়ী ৬ জুন এটা পৃথিবীর সংস্পর্শে আসবে ৷ এম্পায়র স্টেট বিল্ডিংয়ের থেকেও বড় আকারের এই উল্কা পিণ্ড ৷
ডেইলি স্টারের রিপোর্ট অনুযায়ী নাসা এই উল্কা পিণ্ডের নাম রক -১৬৩৩৪৮ (২০০২ এনএন৪) ৷ আশা করা হচ্ছে যদি এই গ্রহাণু পৃথিবীর কাছ দিয়ে বেরিয়ে যায় ৷ পিণ্ডটি লম্বায় ২৫০ থেকে ৫৭০ মিটারের মতো ৷ পাশাপাশি এটা ১৩৫ মিটার চওড়া ৷ এই উল্কাটি সূর্যের কাছ থেকে পৃথিবীর কক্ষের দিকে আসছে ৷ সেন্টার ফর আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজের মত অনুসারে ২১ মে একটি উল্কা পৃথিবীর ভীষণ কাছ দিয়ে গেছে ৷ ২০০০-এর বেশি উল্কাকে প্রতি মুহূর্তে নজরে রেখে চলেছেনাসা ৷ তবে এই উল্কার থেকে সেভাবে ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা ক্ষীণ ৷
আরও পড়ুন: নিরাপদ নয়! গুগল প্লে স্টোর থেকে সরল টিকটক-বিকল্প Mitron
এই উল্কাটি সূর্যের কাছ থেকে পৃথিবীর কক্ষের দিকে আসছে৷ সেন্টার ফর আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজের মত অনুসারে ২১ মে একটি উল্কা পৃথিবীর ভীষণ কাছ দিয়ে গেছে৷ ২০০০-এর বেশি উল্কাকে প্রতি মুহূর্তে নজরে রেখে চলেছে নাসা৷ তবে এই উল্কার থেকে সেভাবে ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা ক্ষীণ।নাসা-র মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মতে এই উল্কার পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভবনা ১ শতাংশের চেয়েও কম ৷ তারপরেও এর ওপর কড়া নজর রাখছেন বিজ্ঞানীরা৷ কখনও কখনও মহাকর্ষের কারণে একদম শেষ সময়ে পৃথিবীর কাছে চলে আসে এই ধরনের গ্রহাণু৷আগামী রবিবার সকাল ৮.২০ নাগাদ এই উল্কাটি যাবে৷ এত বড় আকারের উল্কা এরপর ২০২৪ সালে পৃথিবীর এত কাছ দিয়ে যাবে৷
ন্যাশনাল নিয়ার আর্থ অবজেক্ট স্ট্র্যাটেজি বিভাগের মতে, এক কিলোমিটারের চেয়ে বড় কোনও উল্কা এলেই অ্যালার্ট জারি করা হয়৷ কারণ এত বড় উল্কা যদি পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটায় তাহলে ধ্বংসাত্মক ক্ষতি হতে পারে৷ এর ধাক্কায় ভূমিকম্প, সুনামি, আরও বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় তৈরি হতে পারে৷ ডায়নোসর পৃথিবী থেকে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার মূলেও এ ধরনের সংঘর্ষই দায়ী ছিল ৷এর আগে গত ২৯ এপ্রিল বুধবার সকালে পৃথিবী থেকে প্রায় ৬৩ লাখ কিলোমিটার (৩৯ লাখ মাইল) দূর দিয়ে চলে গেছে বিশাল গ্রহাণুটি। এর আকার মাউন্ট এভারেস্টের প্রায় অর্ধেক। নিরাপদ দূরত্বে থাকায় পৃথিবীতে এর কোনও প্রভাব পড়েনি। তবুও ঘটনার সময় মহাকাশে সতর্ক নজর রেখেছিলেন নাসার বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন: ‘জাতীয় নিরাপত্তা’র ক্ষেত্রে বিপদ, জনপ্রিয় ফাইল শেয়ারিং সাইট WeTransfer-কে নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র